বাড়ি, গাড়ি এখন আর বিলাসিতা নয়। প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কম বেতন হলে বাড়ি, গাড়ি করা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন অনেকে। সেই ধারণা একেবারেই ঠিক নয়। যাদের বেতন বেশ অল্প তাঁরাও পরিকল্পনামতো চললে গাড়ি, বাড়ি কিনতে পারবেন।
একজনের আয় যদি মাসে ২৫ হাজার টাকা হয় তাহলে সে কীভাবে বাড়ি নির্মাণ বা গাড়ি কেনার মতো স্বপ্নপূরণ করতে পারবে? অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাসে যদি ২৫ হাজার টাকা উপার্জন হয় তাহলেও বাড়ি, গাড়ি সম্ভব।
ব্যবসায়িক প্রশিক্ষক দীপক ওয়াধওয়ারের মতে, কম রোজগারেও বাড়ি, গাড়ি কেনার জন্য পরিকল্পনামাফিক বিনিয়োগ প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, মাসে মাত্র ২৫ হাজার টাকা আয় করেও ফরচুনার গাড়ি ও বাড়ি কেনা সম্ভব।
সেজন্য সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যানের (SIP) কথা তুলে ধরেছেন। তাঁর মতে, যদি প্রাথমিকভাবে কেউ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে মাত্র ৫ হাজার টাকা SIP তে বিনিয়োগ করতে পারেন ও তা যদি বছরে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করে, তাহলে রিটার্নের উপর ভিত্তি করে ১৫ বছরে ১.৫ কোটি টাকা জমানো সম্ভব।
তারপর সেই পরিমাণ অর্থ SWP তে সুইচ করতে হবে। যা পরবর্তী ৩০ বছর ধরে প্রতি মাসে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় দেবে। এই সূত্রের সাহায্যে সহজেই নিজের জন্য Fortuner-এর মতো একটি গাড়ি কিনতে কেনা সম্ভব। বাড়ির EMI ও সহজেই পরিশোধ করা যাবে।
SWP কী? SIP মানে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, SWP হল সিস্টেমেটিক উইথড্রয়াল প্ল্যান। মিউচুয়াল ফান্ডে প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করার পর, আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রতি মাসে তা তুলতে পারেন। এর অর্থ হল একটি নির্দিষ্ট মাসিক আয় রয়েছে ও বিনিয়োগে ভালো রিটার্ন মিলছে।
অর্থাৎ SIP এর মাধ্যমে সংগৃহীত তহবিল SWP-তে বিনিয়োগ করে মাসিক আয় এবং রিটার্ন দুটোই অর্জন করা যায়। তবে সেজন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল, শৃঙ্খলা এবং ধৈর্য।
ওয়াধওয়ারের মতে, আসল চ্যালেঞ্জ গাড়ি বা বাড়ির মতো বড় খরচ মেটানো নয়, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় মূলধন তৈরি করার ধৈর্য থাকা।
সাম্প্রতিক সময়ে SIP সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনিয়োগ মাধ্যম। রিটার্নের দিক থেকে, বিনিয়োগকারীরা গড়ে এর থেকে ১২-১৫% আয় করেছেন।
সর্বোচ্চ আয় ১৬-১৮ শতাংশও হয়েছে। এর মাধ্যমে চক্রবৃদ্ধি সুদে ছোট সঞ্চয়কে বড় মূলধনে পরিণত করা যায়।