অনলাইন শপিং হোক বা অফলাইন লেনদেন, বর্তমান যুগে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ব্যাপক হারে বেড়েছে। ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বাড়ার সবচেয়ে বড় কারণ হল, মানুষের হাতে নগদ না থাকা। অর্থাত্ পছন্দের জিনিস কিনে পরে ইএমআই বা কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া। কারণ, সাধারণত ক্রেডিট কার্ডে ৪৫ থেকে ৫০ দিন সময় পাওয়া যায় টাকা মেটানোর।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার সেফ ও সুবিধাজনক। কিন্তু তা নির্ভর করে ব্যবহারকারীর উপরে। একই সঙ্গে যে সংস্থা বা ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উপরেও।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কিছু তথ্য গোপন করে যাচ্ছে। সেই তথ্যগুলি হয়তো খুব ছোট অক্ষরে চুক্তিপত্রে লেখা। আপনিও খেয়াল করেননি।
ক্রেডির কার্ডের বিল সময় মতো মিটিয়ে দিন। যাতে বড় অঙ্কের সুদ না চাপে। কারণ, বিল সময় মতো না মেটালে ঠিক কত টাকা সুদ চাপবে, তার রিমাইন্ডার পাঠায় না ব্যাঙ্ক। একই সঙ্গে ক্রেডিট স্কোরও নেমে যায়। চড়া সুদও গুনতে হবে, ক্রেডিট স্কোরও নেমে যাবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল এলে দেখতে পাবেন, লেখা রয়েছে টোটাল ডিউ পেমেন্ট অপশন এবং মিনিমাম ডিউ। অনেকেই ভাবেন, মিনিমাম ডিউ পেমেন্ট করলেই মুক্তি। কিন্তু সত্যিটা হল, টোটাল ডিউ পেমেন্ট না করলে চড়া সুদ নেয় ব্যাঙ্ক। যতই আপনি মিনিমাম ডিউ দিন। দেখবেন প্রতি মাসেই লাফিয়ে বিল বাড়ছে।
কোনও দামি জিনিস কিনতে গেলে দেখা যায় নো কস্ট ইএমআই-এর সুবিধা থাকে। কিন্তু এই নো কস্ট ইএমআই আসলে ফাঁদ। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন অর্থাত্ নো কস্ট ইএমআই-এর একাধিক শর্ত থাকে। সেগুলি ফলো না করলে চড়া সুদ গুনতে হয়।
ব্যাঙ্ক মাঝে মাঝেই ফ্রি সিলভার কার্ড, গোল্ড কার্ড, প্ল্যাটিনাম কার্ড ইত্যাদি অফার করে। ফ্রি-তে আপডেট করার অফার দেয়। যেই আপনি আপনি আপগ্রেড করবেন, নতুন ক্রেডিট কার্ডের উপর ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা শুল্ক চেপে যায়। ব্যাঙ্ক এটা জানায় না, ফ্রি আপডেটে যে লিমিট বাড়ল, তার শুল্ক আপনাকে আর্থিক বছরের শেষে গুনতে হবে।
ক্রেডিট কার্ডে দেখা যায়, রিওয়ার্ড পয়েন্ট মিলছে কেনাকাটায়। কিন্তু ব্যাঙ্ক এটা জানায় না, ওই পয়েন্ট কীভাবে আপনি ব্যবহার করবেন।
গ্রাহকদের অজান্তেই রিওয়ার্ড পয়েন্টের মেয়াদ ফুরিয়ে যায়। তাই রিওয়ার্ড পয়েন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন ব্যাঙ্কের কাছে। কীভাবে তা ব্যবহার করতে পারবেন।