প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি দেশের সব রাজ্যেই বর্তমানে বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। বলা হচ্ছে, বিদ্যুত সংকটের মূল কারণ কয়লার চাহিদা বৃদ্ধি ও ঘাটতি।
এপ্রিল মাসে ভারতে বিদ্যুতের চাহিদা ১৩.৬% বেড়ে ১৩২.৯৮ বিলিয়ন ইউনিট হয়েছে। গত বছরের এপ্রিলে দেশে বিদ্যুৎ খরচ ছিল ১১৭.০৮ বিলিয়ন ইউনিট।
এপ্রিলের শুরু থেকে, ঝাড়খণ্ড ১০-১২ শতাংশের গড় বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতির সম্মুখীন হয়েছে, যা দেশের সবচেয়ে খারাপ। এর পরে রয়েছে অন্ধ্র প্রদেশ (১০%), উত্তরাখণ্ড (৮-১০%), মধ্যপ্রদেশ (৬%) এবং হরিয়ানায় (৪%) বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতি হয়েছে।
৬০% অর্থাৎ দেশের ১৫০টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৮৮টিতে কয়লার ঘাটতি রয়েছে। সেন্ট্রাল ইলেক্ট্রিসিটি অথরিটির (CEA) দৈনিক কয়লা স্টক রিপোর্টে এই কথা উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, বাংলায় অবস্থা সবচেয়ে খারাপ।
যে ৮৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার অভাব রয়েছে, তার মধ্যে ৪২টি রাজ্য সরকারের অধীনে, ৩২টি বেসরকারি খাতের, বাকি ১২ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। জানা গিয়েছে, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র আর বাংলায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি কয়লার ঘাটতি রয়েছে।
রাজস্থানে রাজ্য সরকারের অধীনে ৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। সবগুলোতেই কয়লার ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও মহারাষ্ট্রের ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ৬টি, বাংলায় ৬টি, তামিলনাড়ুর ৪টির মধ্যে ৪টিতেই কয়লা সংকট রয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৩টিতে কয়লার ঘাটতি রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ৩টিতেই কয়লা সংকট রয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশ-কর্নাটকে ৩টি করে পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে, যেগুলি কয়লা সংকটের সম্মুখীন। এছাড়াও হরিয়ানা ও গুজরাটের ৩টি করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যে ২টিতে কয়লার তীব্র সংকট রয়েছে।
হরিয়ানায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। বর্তমানে রাজ্যে ১৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। অন্যদিকে, পাঞ্জাবে ১৭২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। পাঞ্জাবে, গত ১ মাসে চাহিদা ৩৩% বেড়েছে। এর জেরে দুই রাজ্যেই ব্যাপক লোড শেডিং চলছে।