ঠিক যেমন ১২ সংখ্যার আধার নম্বর থেকে কোনও ভারতীয় নাগরিক সম্পর্কে তাঁর জন্ম তারিখ, ঠিকানা-সহ বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়, তেমনই বাড়ির ঠিকানা সংক্রান্ত যাবতীয় খুঁটিনাটি তথ্য এক জায়গায় আনতে ‘Digital Address Code’ চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় যোগাযোগ মন্ত্রক।
কেন্দ্রের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আপনার দু’লাইন, তিন লাইন বা চার লাইনের ঠিকানা মাত্র ১০-১২ ১২ সংখ্যার ‘Digital Address Code’ থেকেই জানা যাবে। তাই দেশের প্রায় ৭৫ কোটি ঠিকানা ১০-১২ সংখ্যার ‘Digital Address Code’-এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
কেন্দ্রের দাবি, ‘Digital Address Code’-এ ব্যবহৃত নম্বরটি যে কোনও প্রান্ত থেকে নির্দিষ্ট ঠিকানার যথাযথ অবস্থান জানতে সাহায্য করবে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ঠিকানায় চিঠি যাওয়া বা ই-কমার্স সংস্থার পণ্যের ডেলিভারি আরও সহজ হবে। শুধু তাই নয়, বিমা-ব্যাঙ্কিং-সহ যে কোনও ক্ষেত্রে KYC হিসেবে ‘Digital Address Code’ আরও নির্ভুল ও সহজ হবে।
এই ‘Digital Address Code’ কী ভাবে চালু হবে, তার প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি করেছে কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, দেশের সমস্ত বাড়িতেই এই কোড চালু করা হবে। দেশে বর্তমানে গৃহস্থ বাড়ির সংখ্যা প্রায় ৩৫ কোটি। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ঠিকানাও। সব মিলিয়ে মিলিয়ে ৭৫ কোটি ঠিকানার ‘Digital Address Code’ চালু করতে চায় কেন্দ্র।
কেন্দ্রের যুক্তি, বর্তমানে ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে যে নথিগুলি ব্যবহৃত হয়, সেগুলি ডিজিটাল পদ্ধতিতে যাচাই করে দেখার কোনও উপায় নেই। শুধু তাই নয়, ওই ঠিকানাতেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আদৌ থাকেন কি না, তা প্রমাণ করা মুশকিল। কিন্তু ‘Digital Address Code’ চালু করা গেলে ঠিকানার নির্ভুল হদিস মিলবে সহজেই।
শুধুমাত্র ‘Digital Address Code’-ই নয়, প্রত্যেক বাড়ির জন্য চালু হতে পারে বিশেষ QR code। বাড়ির সামনে ওই QR code টাঙানো থাকলে সেটিকে স্ক্যান করেও ওই বাড়ির যথাযথ ঠিকানা সহজেই পাওয়া যাবে। প্রতিটি ফ্ল্যাট, বাড়ি বা অফিসের জন্য আলাদা আলাদা কোড থাকবে। একটি অফিস বিল্ডিংয়ে একাধিক অফিস থাকলে প্রতিটির জন্য আলাদা কোড থাকবে।