পেট্রল এবং ডিজেলের ঊর্ধ্বমুখী দামের বোঝা থেকে সাধারণ মানুষ এখনও স্বস্তি পাননি। এর মধ্যেই ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির ফলে আম জনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এরই মধ্যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ফের ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির গুঞ্জন!
বিগত এক বছরের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করলে বুঝবেন, ভোজ্যতেলের দাম দেখতে দেখতে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাদাম তেলের দাম প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।
খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে মার্চ মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৫.৫২ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে এই হার ছিল ৫.০৩ শতাংশ। এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য অনেকাংশেই দায়ি ভোজ্যতেলের দামের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি!
গত মঙ্গলবার ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে। পরিশোধিত সয়া তেলের দাম কেজি প্রতি ১৩২.৬০ টাকা থেকে এক লাফে ১২.৩ টাকা বেড়ে ১৪৪.৯ টাকা হয়েছে।
মঙ্গলবার নয়ডা, গাজিয়াবাদে খুচরো সরষের তেলের দাম ১৯০-২০০ টাকা লিটারে বিক্রি হয়েছে যা কিছুদিন আগে পর্যন্ত ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
গত বছর ১০ মার্চ, বাদাম তেলের গড় মূল্য ছিল প্রতি লিটারে ১২০ টাকা। ১০ মার্চ, ২০২১-এ যা বেড়ে হয়েছে ১৭০ টাকা। ১০ মার্চ ২০২০-এ, দিল্লিতে বাদাম তেলের দাম ছিল প্রতি লিটারে ১৬২ টাকা, ১০ মার্চ, ২০২১-এ যা বেড়ে হয়েছে ১৮৪ টাকা।
গত মঙ্গলবার ভোজ্যতেলের দাম আরও বেড়েছে। পরিশোধিত সয়া তেলের দাম কেজি প্রতি ১৩২.৬০ টাকা থেকে এক লাফে ১২.৩ টাকা বেড়ে ১৪৪.৯ টাকা হয়েছে।
এক বছরে সয়াবিনের দাম ৪০ শতাংশ বেড়েছে। চিন থেকে সয়াবিনের সরবরাহের ঘাটতি এবং চাহিদা বাড়ন্ত চাহিদায় পরিশোধিত সয়া তেলের দামে প্রভাব ফেলেছে। বাজারের গুঞ্জন, দাম কমাতে কাঁচা মালের আমদানি শুল্ক হ্রাস করতে পারে কেন্দ্র।
ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ের সঙ্গে যুক্ত মানুষ বলছেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। যে কারণে ভারতেও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। তার উপর ক্রমশ ভয়াবহ হতে থাকা করোনা পরিস্থিতির জেরে ফের বাড়তে শুরু করেছে ভোজ্যতেলের দাম।