আইফোন ১৩-এর দাম আরও এক দফা কমল। নভেম্বর ২০২৫-এ এখন এই জনপ্রিয় মডেলটি মিলছে আগের চেয়ে অনেক কম দামে। ১২৮ জিবি স্টোরেজ ভ্যারিয়েন্টের দাম ভিজয় সেলস প্ল্যাটফর্মে রাখা হয়েছে ৪৩,৯৯০ টাকা, যা আগের অফিসিয়াল দামের তুলনায় প্রায় ৬,০০০ টাকা কম।
তাছাড়া, আইসিআইসিআই ও এসবিআই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য আরও ৫,০০০ টাকার অতিরিক্ত ছাড় থাকায় কার্যত ফোনটি হাতে পাওয়া যাচ্ছে ৩৮,৯৯০ টাকায়।
চার বছর আগে বাজারে এলেও আইফোন ১৩ এখনো পর্যন্ত অ্যাপলের সর্বশেষ সফ্টওয়্যার আপডেট পাচ্ছে। বর্তমানে এটি আইওএস ২৬ পর্যন্ত সাপোর্ট করছে, এবং আগামী বছরগুলিতেও আরও আপডেট পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে। তাই যারা বাজেটের মধ্যে থেকেও অ্যাপলের অভিজ্ঞতা নিতে চান, তাদের জন্য এটি এখনো আকর্ষণীয় বিকল্প।
তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, ৫০,০০০ টাকার মধ্যে নতুন প্রজন্মের আইফোন ১৫ অনেক বেশি ভ্যালু ফর মানি অফার করে। এতে রয়েছে উন্নত প্রসেসর, উন্নত ক্যামেরা পারফরম্যান্স ও দীর্ঘমেয়াদি সফ্টওয়্যার সাপোর্ট। বর্তমানে বিভিন্ন ই-কমার্স সেলে আইফোন ১৫-ও ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে, যারা অ্যান্ড্রয়েড ফোনে আগ্রহী, তাদের জন্যও বাজারে রয়েছে বেশ কিছু প্রতিদ্বন্দ্বী বিকল্প। স্যামসাং গ্যালাক্সি S24 FE ও গ্যালাক্সি S24 মডেল প্রায় ৪০,০০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে গুগল পিক্সেল ৯এ মডেলটিও এই দামের মধ্যে অন্যতম সেরা বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বর্তমানে আইফোন ১৩-এর বিভিন্ন রঙের ভ্যারিয়েন্ট যেমন মিডনাইট, আলপাইন গ্রিন, ব্লু, স্টারলাইট হোয়াইট, পিঙ্ক ও প্রোডাক্ট রেড বাজারে সহজলভ্য। দামও বড় প্ল্যাটফর্মগুলিতে গড়ে ৪৩,৯০০ থেকে ৪৪,০০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে।
সব মিলিয়ে, আইফোন ১৩ এখন বাজেট ক্রেতাদের জন্য এক সাশ্রয়ী বিকল্প। তবে যদি একটু বেশি খরচ করার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে আইফোন ১৫ কেনাই ভবিষ্যতের দিক থেকে বুদ্ধিমানের সিদ্ধান্ত হবে। আর অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য স্যামসাং ও গুগল পিক্সেল সিরিজ যথেষ্ট শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী।