বাংলার গৃহবধূদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর করে তুলতে চালু হচ্ছে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প। ভোটের আগেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়নে গতি আনতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী।
১ সেপ্টেম্বর থেকেই রাজ্যের গৃহবধূদের আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে চালু হয়েছে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্প। এই 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার গৃহবধূরা রাজ্য সরকারের থেকে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য পাবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের তফশিলি জাতি-উপজাতি ও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মহিলারা মাসে ১০০০ টাকার আর্থিক সাহায্য পাবেন।
কিন্তু তার জন্য মহিলাদের একক ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে, আগে এমনটাই নির্দেশ ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের অনেক মহিলারই সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট নেই। অধিকাংশেরই স্বামী অথবা পরিবারের অন্য কারও সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে।
রাজ্যের সকল মহিলাকে এই প্রকল্পের সুবিধা দিতে তাই জয়েন্ট অ্যাকাউন্টেও তালিকাভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই শুধুমাত্র জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকা মহিলাদের 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করা শুরু হয়ে গিয়েছে। দুয়ারে সরকার শিবিরগুলি থেকে এ বিষয়ে প্রচারও চালানো হচ্ছে।
স্থায়ী রোজগার নেই এমন ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সব মহিলারাই এই 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাবেন। কিন্তু এই সরকারি সাহায্য পেতে প্রথমে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। কী ভাবে, কোথায়, কবে থেকে 'লক্ষ্মীর ভান্ডার' প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করাবেন, জেনে নিন...
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত 'দুয়ারে সরকার'-এর ক্যাম্প চলবে। 'দুয়ারে সরকার'-এর ক্যাম্পে উপযুক্ত পরিচয়পত্র ও অন্যান্ত নথি-সহ লিখিত দরখাস্ত নিয়ে গেলেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করে নেওয়া হবে।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কাজে গতি আনতে প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তর থেকে শুরু করে সমস্ত জেলা শাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনিয়ম রুখতে ইতিমধ্যেই ফর্ম পিছু ইউনিক নম্বর চালু করেছে রাজ্য সরকার। সূত্রে খবর, এলাকা ভিত্তিক নামের তালিকা হাতে পাওয়ার পরেই তা খতিয়ে দেখে প্রকল্প রূপায়নের কাজ শুরু করা হবে। ইতিমধ্যেই লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আবেদনের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ছাড়িয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রায় ১ কোটি ৬৯ লক্ষের বেশি মহিলা এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরাসরি সরকারি আর্থিক সহায়তা পেতে চলেছেন।