রেশনে সরবরাহ করা কেরোসিন তেলের উপর বছর দেড়েক আগে থেকেই ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। বিগত প্রায় দেড়-দুই বছর ধরে ক্রমশ বেড়ে চলেছে গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় কেরোসিনের দাম।
রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম গত কয়েক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকগুণ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। তিন মাসের মধ্যে লিটারে প্রায় ২৫ টাকা বেড়েছে কেরোসিনের দাম।
দামের পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম ছিল লিটারে ৪৩ টাকা ৫৩ পয়সা। বর্তমানে রেশন দোকান থেকে এক লিটার কেরোসিন কিনতে খরচ হচ্ছে ৮৩ থেকে ৮৭ টাকা।
দামের পরিসংখ্যান থেকেই এটা স্পষ্ট যে, বিগত আট মাসে রেশনে বিক্রি হওয়া কেরোসিনের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে। করোনা মহামারীর আগে ২২-২৫ টাকা লিটারে বিক্রি হওয়া কেরোসিন এখন ৮০ টাকা ছাড়িয়ে ৯০ ছুঁই ছুঁই।
আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামের ভিত্তিতে প্রতি মাসে কেরোসিনের দাম ঠিক করে তেল সংস্থাগুলি। বিগত দেড়-দুই বছরে পেট্রোল-ডিজেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের নিত্যপ্রয়োজনীয় কেরোসিনের দাম।
তিন মাসে কেরোসিনের দাম দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ায় তা কেনা গরিব মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। ফলে কেরোসিনের বিক্রিও কমেছে। এর প্রভাব সরাসরি পড়েছে এজেন্ট বা পাইকারি বিক্রেতাদের বরাদ্দের কেরোসিনের উপর।
কেন্দ্র তিন মাসের কোটায় রাজ্যকে কেরোসিন দেয়। রাজ্যের কোটা বর্তমানে ১,৭৬,০০০ কিলোলিটার। সব রাজ্যের জন্য মোট যে পরিমাণ কেরোসিন বরাদ্দ করে কেন্দ্র, তার এক-তৃতীয়াংশই পায় পশ্চিমবঙ্গ।
সূত্রের খবর, রাজ্যে বিক্রি কমে যাওয়ায় ডিলাররা তাঁদের বরাদ্দের মাত্র ৩০ শতাংশ কেরোসিন তুলতে পেরেছেন। মে মাসে শিলিগুড়ি ডিভিশনের মোট কেরোসিন বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ৮,৩৬৪ কিলোলিটার। সেখানে ডিলাররা মাত্র ২,০৩৪ কিলোলিটার কেরোসিনই তুলতে পেরেছেন।