১৯৮৬ সালের ক্রেতা-সুরক্ষা আইন পরিবর্তন করে ২০১৯-এ নতুন আইন করা হয়। ক্রেতা/গ্রাহক সুরক্ষা আইন, ২০১৯ (Consumer Protection Act, 2019) অনুযায়ী, যারা দৈনন্দিন স্বাচ্ছন্দ্যের আশায় অনলাইন বা অফলাইন আর্থিক লেনদেন, টেলিশপিং বা সরাসরি নানা ধরনের কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত, তাঁরাই ক্রেতা বা গ্রাহক।
এই ক্রেতা বা গ্রাহককে বিভিন্ন পরিষেবা বা পন্য অর্থের বিনিময়ে কেনার পর তার গুণগত মান, বিক্রয় পরবর্তী পরিষেবা সংক্রান্ত নানা অভাব-অভিযোগ জানানোর অধিকার দেয় ক্রেতা/গ্রাহক সুরক্ষা আইন (Consumer Protection Act)।
ক্রেতা বা গ্রাহক কোনও ভাবে প্রতারিত হলে, প্রাপ্য ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে তাঁকে ক্রেতা/গ্রাহক সুরক্ষা আইনের (Consumer Protection Act) সাহায্যে সঠিক উপায় সুবিচার পাইয়ে দেওয়া সুনিশ্চিত করা হয়।
ক্রেতা বা গ্রাহকদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য ত্রিস্তরীয় বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থায় কাজ করা হয়। ১ কোটি টাকার কম আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি দেখে জেলা কমিশন (District Commission)।
২০১৯-এর আগে প্রতিটি জেলায় ক্রেতা-সুরক্ষা আদালতে মামলা করলে মামলাকারী সর্বাধিক ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পেতেন। নতুন আইনে ওই সীমা বেড়ে ১ কোটি টাকা হয়েছে।
১ কোটির বেশি অথচ ১০ কোটি টাকার কম অঙ্কের লেনদেনে অনিয়মের ক্ষেত্রে রাজ্য কমিশন (State Commission) বিচার করে। ১০ কোটি টাকার বেশি অঙ্কের লেনদেনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিশন (Central Commission) তদন্ত ও বিচার করে। এই কমিশনগুলিতেই অভিযোগ দায়ের করেন ক্রেতা কিংবা গ্রাহকরা।
ক্রেতা বা গ্রাহক (Consumer) যদি অর্থের বিনিময়ে কোনও জিনিস কেনেন বা কোনও পরিষেবা নেন, তাহলে সেটির গুণাগুণ এবং উপযোগিতা সম্পর্কে তাঁদের জানার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। অর্থের বিনিময়ে কেনা ওই জিনিস বা পরিষেবায় খুঁত গুণমানগত সমস্যা থাকলে, তার প্রেক্ষিতে ক্রেতা বা গ্রাহক (Consumer) ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন।
গ্যাঁটের কড়ি খরচ করে কেনা জিনিস বা পরিষেবার খুঁত বা গুণমানগত নিয়ে সমস্যা থাকলে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারেন ক্রেতা বা গ্রাহক (Consumer)। কী ভাবে এই মামলা দায়ের করতে হবে, সে বিষয়ে ক্রেতা বা গ্রাহককে (Consumer) উপায় বাতলে দেয় Consumer Protection Councils।