গত বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে করোনা বিধি-নিষেধ শিথিলের পর থেকেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফেরার আশায়, বাড়ির বাইরে পা রেখেছেন অনেক ঘর-বন্দি মানুষ। কিন্তু সরকারি অনুমতির পরেও রাস্তায় বেসরকারি বাসের দেখা মিলছে না। —প্রতীকী ছবি।
আকাশছোঁয়া ডিজেলের দাম। তার উপর ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে কোভিড বিধি মেনে বাস চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিপুল ক্ষতির চাপ সামাল দেওয়া যাবে না বলেই পথে নামেনি অধিকাংশ বেসরকারি বাস। —প্রতীকী ছবি।
তবে হাতে-গোনা যে ক’টা বাসের দেখা মিলছে, সেগুলির ভাড়া নিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে নিত্যযাত্রীদের। কয়েকটি রুটের কিছু বেসরকারি বাস যাত্রীদের থেকে লাগামছাড়া ভাড়া নিতে শুরু করেছে। ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়াও চাওয়ার অভিযোগ উঠছে কোনও কোনও বাসে। ডানকুনি থেকে বালি হয়ে সেক্টর ফাইভ বা উল্টোডাঙার দিকে যাওয়া বাসগুলিতে ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। —প্রতীকী ছবি।
হাওড়া স্টেশন থেকে সেন্ট্রাল এভিনিউ-মুখী বাস হাওড়া ব্রিজ পার করে বড়বাজার ছুঁতেই যাত্রীদের থেকে ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে বাসের ভাড়া ন্যূনতম ৮ টাকা, সেখানে প্রায় দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করা হচ্ছে যাত্রীদের থেকে। ধর্মতলা-বারাসত-কল্যাণী রুটের বেশ কিছু বাস ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া দাবি করছে। —প্রতীকী ছবি।
শহরের বেশ কয়েকটি রুটের যাত্রীদের অভিযোগ, ন্যূনতম ১৫ টাকা ভাড়া নেওয়ার পাশাপাশি প্রতি ৪ কিলোমিটার অন্তর ৫ টাকা করে ভাড়া বাড়াচ্ছে কয়েকটি বাস। সব মিলিয়ে বাসে ১৬ কিলোমিটারের বেশি দূরত্ব অতিক্রম করতে ৩৫ টাকা ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের। —প্রতীকী ছবি।
শহরের কয়েকটি রুটে ভুয়ো ‘ফেয়ার চার্ট’ দেখিয়ে যাত্রীদের থেকে অন্যায় ভাবে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করার অভিযোগও সামনে এসেছে বিগত কয়েকদিনে। রাস্তায় বাসের সংখ্যা কম থাকায় কোথাও দ্বিগুণ, কোথাও তিন গুণ ভাড়া দিয়েও যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা। —প্রতীকী ছবি।
বেসরকারি বাসের যথেচ্ছ ভাড়া দাবির প্রসঙ্গে রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক (জেনারেল সেক্রেটারি) তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারের হস্তক্ষেপ না করায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তবে ভুয়ো ‘ফেয়ার চার্ট’ দেখিয়ে যাত্রীদের থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা অন্যায়, অনৈতিক।” —প্রতীকী ছবি।
তপনবাবু আরও বলেন, “ভাড়া ঠিক করার দু’রকম উপায় রয়েছে। হয় শহরের অটো, টোটোর মতো বাস ভাড়ার উপর থেকেও সরকারি নিয়ন্ত্রণ উঠে যাক, নয়তো দায়িত্ব নিয়ে দ্রুত সমস্ত বাস রুটের ভাড়া বেঁধে দিক সরকার। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি, পরিস্থিতি বিচার করে বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হোক। প্রতিটি রুটে কত ভাড়া হবে, তা ঠিক করে দিক সরকার।”
শুক্রবার সকালে বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয় ও আরও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে জরুরি বৈঠক করে রাজ্য বেসরকারি বাস সিন্ডিকেটসের জয়েন্ট কাউন্সিলের সদস্যরা। বেসরকারি বাসের ভাড়া, বাসের যাত্রী সংখ্যা ইত্যাদি নানা বিষয় এখানে আলোচিত হয়। তবে সমধানসূত্র খুঁজতে এখনও রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় রয়েছে বেসরকারি বাস সিন্ডিকেট।