দেশের বৃহত্তম বীমা সংস্থা LIC-র IPO নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যেই আইনী উপদেষ্টা নিয়োগের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। লেনদেনের জন্য মার্চেন্ট ব্যাংকারদের শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখটি ২০২১ সালের ৬ আগস্ট।
বিনিয়োগ এবং পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট বিভাগ এই বছরের ২০২১ জানুয়ারিতে IPOর আগে মূল্যায়নের জন্য অ্যাকুয়ারিয়াল ফার্ম মিলিম্যান অ্যাডভাইজারস এলএলপি ভারতকে নিয়োগ করেছিল। এই IPO ভারতীয় কর্পোরেট ইতিহাসের বৃহত্তম IPO হতে পারে।
LIC-র বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২-২০১৮ অর্থবছরে এর মোট সম্পদ ছিল ৩২ লক্ষ কোটি টাকা। হোম বীমা ব্যবসায় LIC-র বাজারের শেয়ারের পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ। সরকার বর্তমানে LICতে ১০০ ভাগ অংশীদারিত্ব রয়েছে।
এই IPO কখন আসবে সে সম্পর্কে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এই অনুমোদনের পরে এখন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানের নেতৃত্বে একটি কমিটি এই IPOর ইস্যুর আকার এবং দাম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। এর বাইরে IPO কবে আনবে তাও কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
পুনর্নির্মাণ অধিদফতর আইনী পরামর্শদাতার নিয়োগের জন্য আবেদনগুলি আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখটি ২০২১ সালের ৬ আগস্ট।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর সংসদের অধিবেশন চলাকালীন প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন যে, LIC তার IPOতে গ্রাহকদের জন্য আলাদা কোটা ঠিক করতে পারে। ইস্যুর আকারের ১০ শতাংশ পলিসিধারীদের জন্য সংরক্ষণ করা যেতে পারে। যারা LIC পলিসি কিনবেন তারাও সুবিধা পাবেন।
LIC-র IPO কবে আসবে? ইংরেজি সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছর ২০২১-২২ পর্যন্ত, অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে LIC-র IPO আসতে পারে। IPOর ইস্যু আকারের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পলিসিধারীদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সরকার ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত IPOর জন্য প্রয়োজনীয় আইনী পরিবর্তন করেছে।
এর বাইরে ডিলয়েট এবং এসবিআই ক্যাপসকে প্রি-IPO লেনদেন পরামর্শদাতা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।আর কেন্দ্রীয় সরকার চলতি অর্থবছরে অবসান ও বেসরকারীকরণের মাধ্যমে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।