শিলিগুড়িকে অক্সিজেনদায়ী গাছে মুড়তে চলেছে পুরনিগম। করোনা পরিস্থিতিতে পুর প্রশাসকদের মাথায় এমন চিন্তাভাবনা এসেছে।
শহরের নিজস্ব অক্সিজেনের ভাণ্ডার গড়তে ফল, ফুল, কিংবা ভেষজ উপকারী গাছগুলি, যেগুলি বেশি করে অক্সিজেনের সরবরাহ করে সে সমস্ত গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তবে একেবারে ছোট চারা নয়, মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ বছরের গাছ সংগ্রহ করবে শিলিগুড়ি পুরনিগম। তাহলে দ্রুত গাছগুলি বাড়বে।
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি বন দফতরের সামাজিক বনসৃজন বিভাগ, উদ্যানপালন বিভাগের কাছেও আবেদন জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
শুক্রবার শিলিগুড়ি শহরকে সবুজায়নের লক্ষ্যে দশ হাজারেরও বেশি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
এদিন শিলিগুড়ি পুরনিগমে শহরের বিভিন্ন বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, অধ্যাপক-অধ্যাপিক, পার্কস এণ্ড গার্ডেনস -এর আধিকারিক, সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করা হয় ।
সেখানে ঠিক হয় গাছগুলি যত দ্রুত সম্ভব জোগাড় করা হবে। সেগুলি পুরনিগমের হাতে তুলে দেওয়ার পর জায়গা বাছাই করে তা রোপণ করা হবে।
শহরের বিভিন্ন রাস্তার ডিভাইডার, যে সব এলাকায় ফাঁকা জায়গা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে, সেগুলি জায়গাকে চিহ্নিত করা হবে।
গাছ লাগানোর পর প্রতিটি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মাস্টার ও এলাকার জন প্রতিনিধিদের কাছে আবেদন জানানো হবে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য।
এই উদ্যেগ সফল হলে সবুজায়নের লক্ষ্যে শহর যেমন এগিয়ে যাবে, তেমনই প্রাকৃতিক অক্সিজেনের অভাব অনেকটাই মিটবে। দূষণের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
তবে প্রথম দফাতেই শেষ নয়, পরবর্তীতে আরও গাছ লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন শিলিগুড়ি পুর প্রশাসকমণ্ডলীকর চেয়ারম্যান গৌতম দেব।