Porsche Taycan Electric Car: ভারতে ইলেকট্রিক গাড়ির বাজার দ্রুত বাড়তে শুরু করেছে। আর তাই তো এন্ট্রি লেভেল থেকে শুরু করে লাক্সারি- একের পর এক ইলেকট্রিক কার ভারতীয় বাজারে লঞ্চ হচ্ছে। এবারের সেই প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ল পোর্শও। সব ছবি: গেটি ইমেজেস
তারা নতুন এক লাক্সারি গাড়ি ভারতের বাজারে নিয়ে চলে এসেছে। যা শুধু প্রবল গতিবেগ সম্পন্ন নয়, সেটি এক চার্জে চলবে ৪৮০ কিলোমিটার পথ। এমনই দাবি করা হচ্ছে। এই ব্যাপারে আসুন কিছু জেনে নিন। সেইসঙ্গে দেখি নিই ঝকঝকে-তকতকে কিছু ছবি।
গাড়িটির নাম পোর্শ টেক্যান (Porsche Taycan)। এটা তাদের পুরো ইলেকট্রিক কার। যা ভারতের তারা নিয়ে চলে এসেছে। এর লুক পোর্শের আর গাড়িগুলির মতোই অনবদ্য।
আর এর (Porsche Taycan) ডিজাইন এবং এয়ারোডায়নামিক্স রাস্তায় তরতরিয়ে ছুটতে সাহায্য করবে। যেন জাদু দেখাবে এই গাড়ি। এই গাড়িকে সবথেকে বেশি গতিবেগসম্পন্ন ইলেকট্রিক কার বলে মানা হচ্ছে। এমন বলা হলে ভুল বলা হবে না।
এর (Porsche Taycan) এয়ারোডায়নামিক্স ডিজাইন তিন সেকেন্ডের কম সময়ে গাড়ির গতিবেগ শূন্য থেকে ১০০ কিলোমিটারে পৌঁছে দেবে। মানে নিমিষেই ঝড়ের গতিবেগ গিয়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে এই গাড়িতে চড়ে।
এই গাড়ি (Porsche Taycan)-তে রয়েছে ৭৯.২ kWh-এর সিঙ্গল ডেক ব্যাটারি পাওয়ার প্যাক। এটা পোর্শের স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যেমন দেওয়া হয়, তেমনই দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি ৯৩.৪ kWh-এর ডবল ডেস্ক ব্যাটারির অপশনও রাখা হয়েছে।
আরও জানানো যেতে পারে যে এই গাড়ি (Porsche Taycan)-তে ব্যাটারি 408bhp থেকে 760 bhp পাওয়ার জেনারেট করতে পারে। পারফরম্যান্স ব্যাটারি প্যাক সিঙ্গল রিচার্জ করলে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে যেতে পারে।
দেখা যাচ্ছে, এই গাড়ি (Porsche Taycan)-র চার্জিংয়ের ওপর যেন বিশেষ দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু অনবদ্য ফিচার রয়েছে। বেশ ভেবেচিন্তেই তার মধ্যে যোগ করা হয়েছে। দু'দিকেই চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। মানে ডানদিকে এবং বাঁদিকে যে-কোন দিকেই সেখানে চার্জ করা যেতে পারে। ফলে কোনও গ্রাহক, গাড়িরমালিক-চালক কোনও চার্জিং স্টেশনে সেটা নিয়ে গেলেই হবে।
তাঁকে নির্দিষ্ট কোনও দিক করে গাড়ি (Porsche Taycan) ঢোকাতে বা বের করতে হবে না। কারণ দু'দিকেই চার্জ দেওয়া যেতে পারে। আর এর পাশাপাশি এসি এবং ডিসি-দু'কমের চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এর (Porsche Taycan) কেবিনটা দেখলে মনমুগ্ধ হয়ে যাবে। ড্যাশবোর্ড থেকে শুরু করে সিট, দরজা- সব প্রিমিয়াম কোয়ালিটির। ইন্টেরিয়র ডিজাইন করা অত্যন্ত ভেবে।
ইনফোটেইনমেন্ট স্ক্রিন ১০.৯ ইঞ্চির। আর যেখানে প্রায় সব কিছুই কন্ট্রোল করার জন্য উপকরণ মজুদ রয়েছে। কেবিনের ভিতরে হাওয়া আর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গাড়ি (Porsche Taycan)-তে যেহেতু ইঞ্জিন নেই, তাই সেখানে খুব আরামসে দু'টো বড় বড় সুটকেস নিজের জায়গা করে নিতে পারবে। ভারতীয় মার্কেট এর দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা। অডি, জাগুয়ার বিএমডব্লুর ইলেকট্রিক গাড়িকে খুব সহজে টক্কর দিতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।