আপনি যদি কোন ঝুঁকি না নিয়ে বিনিয়োগে রিটার্ন চান, তাহলে আপনি পোস্ট অফিসের রিকারিং ডিপোজিট স্কিমে টাকা বিনিয়োগ করতে পারেন। এই প্রকল্পে অল্প পরিমাণ বিনিয়োগও পরবর্তিকালে বড় মুনাফা পাওয়া যায়।
যদিও পোস্ট অফিসের অনেক স্কিম গ্রাহকদের সঠিক সুদ দিতে সক্ষম, কিন্তু সেগুলির মধ্যে রিকারিং ডিপোজিট স্কিম বেশি প্রচলিত। এই স্কিম নেওয়া সহজ এবং এতে টাকা জমা দেওয়াও সহজ। প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে, শেষ পর্যন্ত একটি বড় অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যাবে।
পোস্ট অফিসের রিকারিং ডিপোজিট স্কিম খুব কম টাকা দিয়ে শুরু করার সুবিধা দেয়। গ্রাহকরা প্রতি মাসে ১০০ টাকা জমা দিয়েই এই স্কিম শুরু করতে পারেন। সর্বাধিক আমানতের কোনও সীমা বাঁধা নেই।
এটি সরকার দ্বারা সমর্থিত, তাই মার যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। এর সুদের হার অগ্রিম নির্ধারণ করা হয়েছে, তাই গ্রাহক জানেন রিকারিং ডিপোজিট ম্যাচিওর হলে তাঁরা হাতে কত টাকা পাবেন। অর্থাৎ, গ্রাহক তাঁর ভবিষ্যত সঞ্চয়ের সুষ্ঠ পরিকল্পনা করতে পারেন।
রিকারিং ডিপোজিটতে কত সুদ পাওয়া যায়? কমপক্ষে ৫ বছরের জন্য পোস্ট অফিসে একটি রিকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। বার্ষিক সুদের হারের ভিত্তিতে প্রতি ত্রৈমাসিকে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে সুদের টাকা জমা হবে।
ইন্ডিয়া পোস্টের বর্তমানে রিকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে ৫.৮% সুদ পাওয়া যাচ্ছে। নতুন সুদের হার ১ জুলাই, ২০২০ থেকে কার্যকর হয়েছে। ভারত সরকার প্রতি ত্রৈমাসিকে সমস্ত ছোট সঞ্চয় স্কিমের সুদের নতুন হার ঘোষণা করে।
বিনিয়োগে কত রিটার্ন? আপনি যদি পোস্ট অফিসের রিকারিং ডিপোজিট স্কিমের অধীনে প্রতি মাসে ১০,০০০ টাকা জমা করেন, তাহলে ১০ বছর পরে আপনি সহজেই ১৬.২৮ লক্ষ টাকা পেতে পারেন। রিকারিং ডিপোজিট স্কিমের মেয়াদপূর্তিতেই গ্রাহক এই পরিমাণ টাকা পাবেন।
মনে রাখবেন, প্রিমিয়ামের টাকা সময় মতো দিতে হবে। যদি এর মধ্যে কখনও কোনও প্রিমিয়ামের টাকা দেওয়া না হয়, তাহলে জরিমানা দিতে হতে পারে। যদি প্রিমিয়ামের টাকা দিতে দেরি হয়, তাহলে প্রতি মাসে ১% জরিমানা দিতে হবে। যদি টানা ৪ মাস অ্যাকাউন্টে কোনও টাকা জমা না পড়ে, তাহলে ওই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে।
পোস্ট অফিসের রিকারিং ডিপোজিট স্কিমে গ্রাহক একা বা যৌথ ভাবে এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। সর্বাধিক তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক একসঙ্গে মিলিত ভাবে একটি রিকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। রিকারিং ডিপোজিট স্কিমের মেয়াদ ৫ বছর। মেয়াদপূর্তিতে চাইলে আরও ৫ বছর বাড়িয়ে নেওয়া যেতে পারে। প্রতি মাসে ১০০ টাকা জমা করেও এই অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন।
এই রিকারিং ডিপোজিট স্কিমে কোনও অ্যাকাউন্ট এক পোস্ট অফিস থেকে অন্য পোস্ট অফিসে স্থানান্তর করতে পারেন। এই অ্যাকাউন্ট চালু করার এক বছর পর এখানে সঞ্চিত অর্থের ৫০% পর্যন্ত ঋণ নিতে পারেন। সুদের সাথে ঋণের পরিমাণ পরিশোধ করার সুবিধা রয়েছে।