২০২১-এ পরপর IPO খোলার ফলে বিনিয়োগকারীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন যে, কোনটিতে বিনিয়োগ করা উচিৎ আর কোনটায় টাকা না ঢাললেও চলবে! কোন IPO-তে বিনিয়োগ সবচেয়ে লাভজনক হতে পারে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মানুষের মনে!
IPO-Initial Public Offering এর সংক্ষিপ্ত রূপকে IPO বলা হয়। IPO-কে প্রাইমারি মার্কেটও বলা হয়। বিনিয়োগে ইচ্ছুক সাধারণ মানুষের থেকে টাকা তোলার আরেক নামই IPO।
RailTel সংস্থাকে ভারত সরকারের মিনি রত্ন (বিভাগ -১) হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত RailTel কর্পোরেশনের IPO সাবস্ক্রিপশনের জন্য খুলেছিল। বিনিয়োগকারীরা এই IPO-তে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিনিয়োগ করেছেন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত RailTel IPO-এ ৪২.৩৯ গুণ সাবস্ক্রিপশন করা হয়েছে!
এই IPO-র আওতায় ৮,৭১,৫৩,৩৬৯টি শেয়ার কিনতে এই IPO-র লট সাইজ ১৫৫ ইক্যুইটি শেয়ারের। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (NSE) তথ্য অনুযায়ী, ৬,১১,৯৫,৯২৩টি শেয়ারের জন্য দরপত্রের আমন্ত্রণ চেয়ে এবং ২,৫৯,৪২,৪৩,৩৭০টি শেয়ারের জন্য দরপত্রের আবেদন পেয়েছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানাধীন RailTel কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া IPO-র জন্য প্রতিটি শেয়ারের দাম ৯৩ টাকা থেকে ৯৪ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এই IPO-র মাধ্যমে সরকার RailTel কর্পোরেশনে তার অংশীদারিত্ব ২৭.১৬ শতাংশে হ্রাস করবে।
শেয়ার কারবারীদের মতে, RailTel কর্পোরেশনের IPO বরাদ্দ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এর মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এর তালিকা ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১-এ শেয়ার বাজারে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দেশের অন্যতম বৃহৎ টেলিকম পরিকাঠামো প্রদানকারী সংস্থাটি RailTel কর্পোরেশনের নিজস্ব 'রাইট অফ ওয়ে' অপটিক ফাইবার নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশজুড়ে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা এবং মাল্টিমিডিয়া নেটওয়ার্ক দেয় RailTel কর্পোরেশন। ডিসেম্বর ২০১৮ এ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা রেলটেল কর্পোরেশনের আইপিওকে অনুমতি দেয়।
RailTel কর্পোরেশনের শেয়ারের ৫০ শতাংশ যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক ক্রেতাদের জন্য ৩৫ শতাংশ খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য এবং ১৫ শতাংশ বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য সংরক্ষিত। সরকার এই IPO থেকে প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা জোগাড় করবে। এই IPO-র মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিমাণটি সরকারের কাছে যাবে।