রাজ্যজুড়ে চলা করোনা বিধিনিষেধ আর সুপার সাইক্লোন ইয়াসের (Yass) তান্ডবের জোড়া ধাক্কায় বাংলার অনেক জেলাতেই মাছের জোগান কমেছে। ঝড়ের পর থেকেই পর্যাপ্ত সামুদ্রিক মাছ পৌঁছাচ্ছে না শহরের বাজারে।
নদীর মাছের জোগান কমে যাওয়ার ফলে ভেড়ি বা পুকুরের মাছও এখন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। সব মিলিয়ে বিগত এক সপ্তাহ ধরে ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী মাছের দর।
বুধবার পাতিপুকুর মাছের বাজারের এক ব্যবসায়ীর জানান, গত চার-পাঁচ দিনে রুই, কাতলার দাম কেজিতে প্রায় ২০-৩০ টাকা বেড়ে গিয়েছে। অন্যান্য ছোট সামুদ্রিক মাছের দামও এখন আকাশছোঁয়া!
দিঘা, মন্দারমণি, সাগর থেকে সামুদ্রিক মাছের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে শহরের বাজারে। লকডাউন আর সুপার সাইক্লোন ইয়াসের (Yass) জোড়া ধাক্কায় সে জোগান অনেকটাই কমে গিয়েছে।
ঝড়ের পর থেকে বাজারে সে ভাবে ভেটকির দেখা মিলছে না। যে টুকু পাওয়া যাচ্ছে, তাতে প্রতি কেজিতে প্রায় ২০০ টাকা করে বেড়ে গিয়েছে ভেটকির দাম। ইয়াসের (Yass) তান্ডবের আগে ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া ভেটকি এখন ৫০০-৫৫০ টাকায় বিকোচ্ছে।
করোনা অতিমারীর প্রভাবে গত বছর থেকেই কদর বেড়েছে চারা পোনা-সহ অন্যান্য ছোট মাছের। নদী ও সামুদ্রিক মাছের পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় দীর্ঘদিনের ব্রাত্য ছোট মাছের দামও এখন আকাশছোঁয়া!
বাজারে এখন ইলিশ প্রতি কেজি ১২০০-১৮০০ টাকা, পমফ্লেট ৫০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৩০০-৪০০ টাকা, পার্শে ২৫০-৩৫০ টাকা, রুই মাছ (গোটা) প্রতি কেজি ১৮০-২০০ টাকা, রুই মাছ (কাটা) প্রতি কেজি ২২০-২৫০ টাকা, কাতলা মাছ (গোটা) প্রতি কেজি ২৫০-২৮০ টাকা, কাতলা মাছ (কাটা) প্রতি কেজি ৩২০-৩৬০ টাকা, চিংড়ি ৩০০-৩৫০ টাকা করে দাম যাচ্ছে।
এ দিকে প্রতি কেজি মৌরোলা ৪০০ টাকা, ট্যাংরা মাছ ১৬০-২০০ টাকা কেজি, তেলাপিয়া মাছ প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকা, ভোলা মাছ প্রতি কেজি ১৮০-২২০ টাকা করে দাম যাচ্ছে। ফলে পাতে মাছ তুলতে গিয়ে এখন রীতিমতো হাত পুড়ছে মধ্যবিত্তর।