করোনা আতঙ্কের আবহে দেশের অধিকাংশ মানুষই ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন। এর ফলে বেড়েছে অনলাইন কেনাকাটা। ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে স্মার্টফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করে অনলাইনে অর্ডার দিয়ে মাছ-মাংস, চাল-ডাল, শাক-সবজি-সহ রান্নাঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস দোরগোড়ায় আনিয়ে নিচ্ছিলেন অনেকেই।
ব্রিটেনের ACI Worldwide-এর সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২০ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি Digital আর্থিক লেনদেন হয়েছে ভারতে। এই হিসাবে ভারত Digital লেনদেনে চিন, আমেরিকাকে হারিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
এমন ভুলের ক্ষেত্রে কী ভুল অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা আর ফেরৎ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা থাকে? এই ধরনের ভুলের ক্ষেত্রে অনেকেরই ধারণা, ওই টাকা হয়তো আর ফেরৎ পাওয়া সম্ভব নয়।
তবে কতগুলি নিয়ম মেনে চললে এই টাকাও ফেরৎ পাওয়া সম্ভব! রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-র নির্দেশ মেনে পদক্ষেপ করলে ৩ দিনের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই টাকা ফেরৎ পাওয়া সম্ভব! কী ভাবে ভুল অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা টাকা ফেরত পাবেন জেনে নেওয়া যাক...
এমন ঘটনা ঘটলে প্রথমেই নিজের ওই নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টের ATM কার্ড এবং ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সার্ভিস বন্ধ করে দিতে হবে। এর জন্য ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট হেল্প লাইন নম্বরে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বর থেকে ফোন করে ব্লক করার কারণ ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ দিয়ে অনুরোধ জানাতে হবে।
এর পর পুলিশের কাছে গিয়ে গোটা ঘটনা সবিস্তারে জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। থানা থেকে এফআইআরের কপি নিয়ে সেটি জমা দিতে হবে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কে।
এফআইআরের সূত্র ধরে তদন্ত করবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। জালিয়াতির ঘটনা ঘটে থাকলে সমস্ত টাকাই গ্রাহক ফেরত পেয়ে যাবেন। যদি ভুল অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার হয়ে গিয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে যে অ্যাকাউন্টে ভুল বসত টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ-সহ তা জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে।
এ ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত করবে কর্তৃপক্ষ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া নির্দেশিত পদক্ষেপ মেনে চললে ৩ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে জানালে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই টাকা ফেরৎ পাওয়া সম্ভব!