করোনার ফলে বিশ্বের অনেক দেশেরই অর্থনীতি বিপর্যস্ত! ভারতের অর্থনীতিতেও করোনা মহামারির ব্যাপক প্রভাব প্রড়েছে। চলতি অর্থবর্ষে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংসার চালাতে পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের সঞ্চয় তলানিতে এসে ঠেকেছে।
করোনার জেরে দেশে যে আর্থিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাবে চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বেড়েছে ভারতের বেকারত্বের হার। অক্টোবর মাস থেকেই দেশের বেকারত্বের হার বাড়তে শুরু করেছে। এমনই তথ্য উঠে এসেছে অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) পরিসংখ্যানে।
অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর— এই তিন মাসে দেশে ফের বেকারত্বের হার ৬.৯৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯.৩ শতাংশে (২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী) পৌঁছে গিয়েছে।
CMIE-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, অক্টোবর মাসে কাজ হারিয়েছেন দেশের ৫০ হাজার মানুষ। নভেম্বরে বেকার হয়েছেন প্রায় ৩৫ লক্ষ নাগরিক, যা নিঃসন্দেহে বেশ উদ্বেগের! ডিসেম্বরের তিন সপ্তাহে বেকারত্বের হার ৬.৫ শতাংশ থেকে এক লাফে বেড়ে ৯.৫ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
দেশের কর্মসংস্থান, বেকারত্বের হার এবং অর্থনীতি— এই তিনটি বিষয় একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তাই কর্মসংস্থানের অভাব, বেকারত্বের হার বৃদ্ধির ফলে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির গতিও হ্রাস পাচ্ছে।
করোনা মহামারির জেরে গত এপ্রিল-জুন মাসে ভারতীয় অর্থনীতি রেকর্ড ২৩.৯ শতাংশ সঙ্কুচিত হওয়ার পর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আনলক প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর অনেকটাই স্থিতিশীল অবস্থায় পৌঁছোয়। কিন্তু অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর— এই তিন মাসে ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে কর্মসংস্থান।
CMIE-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে কর্মসংস্থানের হার ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের তুলনায় ২.৫ শতাংশ কমবে। ২০১৯-’২০ অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর পর্বে দেশের প্রায় ৪০.৫ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছিল।