নতুন বছরে বেকারত্বের সমস্যা কাটিয়ে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ভারত। রাজ্যুগুলির মধ্যে হরিয়ানায় বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। নতুন কর্মসংস্থানের নিরিখে বিহার, ঝাড়খণ্ডকে পিছনে ফেলে দিয়েছে বাংলা।
১ ডিসেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে চালু হয় রাজ্য সরকারের দুয়ারে দুয়ারে সরকার প্রকল্প, চলেছে ৩০ জুনুয়ারি পর্যন্ত। মোট চারটি ধাপে রাজ্যের সাধারণ মানুষের কাছে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এখনও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পকে রাজ্যের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপ করা হচ্ছে। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই সমস্ত প্রকল্পের সাহায্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে সরকার।
কিন্তু এত কিছুর পরও এ রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে পরিস্থিতিটা কতটা বদলেছে! রাজ্যে বেকারত্ব সমস্যার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা কমার সম্ভাবনা কতটা? জেনে নিন কী বলছে ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) তথ্য...
অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের পর থেকে দেশের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি একটু একটু করে বদলাচ্ছে।
ডিসেম্বরে বিহার, ঝাড়খণ্ডের চেয়েও পিছনে ছিল বাংলা। বেকারত্বের হারে দেশের ছয় নম্বরে ছিল এ রাজ্যের নাম। কিন্তু নতুন বছরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। তবে ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বাড়তে শুরু করেছে এ রাজ্যের বেকারত্বের হার!
ফেব্রুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার ছিল ৬.২ শতাংশ যা জানুয়ারির তুলনায় ১ শতাংশ বেশি। মার্চ মাসে এ রাজ্যের বেকারত্বের হার ১.৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৫ শতাংশে।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (CMIE) থেকে পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশের বেকারত্বের হার ৬.৫২ শতাংশ, গত মাসে যা ছিল ৬.৯ শতাংশ। রাজ্যগুলির মধ্যে হরিয়ানার বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি, ২৮.১ শতাংশ।
পশ্চিমবঙ্গের বেকারত্বের হার বর্তমানে ৭.৫ শতাংশ, যেখানে প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে বেকারত্বের হার ১৪.৫ শতাংশ, ঝাড়খণ্ডে ১২.৮ শতাংশ, ওড়িশায় বেকারত্বের হার মাত্র ১.৬ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের আর এক প্রতিবেশী রাজ্য অসমে বর্তমানে বেকারত্বের হার ১.১ শতাংশ এবং ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার ১৩.৯ শতাংশ।