ব্যান্ডেল স্টেশনের কাজ শেষ হয়ে গতকাল থেকেই পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে। স্টেশনে জার্মান প্রযুক্তি নির্ভর ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা (Electronic Interlocking System) চালু করেছে রেল।
দেশের শতাধিক স্টশনেই এই ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা (Electronic Interlocking System) বা EIS চালু হয়েছে। খড়্গপুরে এই ব্যবস্থায় জুড়েছে (Kharagpur) ৮০০টি রুট।
ব্যান্ডেলে সেই ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা (EIS) চালু হওয়ায় খড়্গপুরের এতদিনের রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়ে জুড়ল ১০০২টি রুট। গলকালকের পরেই ব্যান্ডেলের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক।
দেশের মধ্যে তো বটেই, ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এ বিশ্বে সবচেয়ে বড় রুট এবার ব্যান্ডেল স্টেশনে। জানা গিয়েছে, রেলের তরফে তাই গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের কাছে নাম তোলার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
বৃটিশ রুট রিলে ইন্টার লকিং সিস্টেম বাতিল করে ব্যান্ডেল স্টেশনে জার্মান প্রযুক্তি নির্ভর ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা (EIS) চালু করায় একাধিক ট্রেনের সিগন্যালের জন্য ‘ওয়েটিং টাইম’ অনেকটাই কমে গেল।
ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং ব্যবস্থা (EIS) চালু করায় ‘ওয়েটিং টাইম’ কমানোর পাশাপাশি ট্রেন দুর্ঘটনার সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। এছাড়া কুয়াশাতেও সিগন্যালেরও কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়াররা।
ব্যান্ডেল স্টেশনে EIS চালু হওয়ায় মূলত মগরা থার্ড লাইনে রুটের সংখ্যা বেড়েছে। নৈহাটি, কাটোয়ামুখী ট্রেনগুলিকে প্ল্যাটফর্ম দেওয়ায় ক্ষেত্রে যে সমস্যা হতো, তা মিটে গিয়েছে। এবার মগরা থার্ড লাইন চালু করা হবে।
ইঞ্জিনিয়াররা জানিয়েছেন, এই EIS চালু হওয়ায় কোনও কারণে ট্রেনের চালক যদি সিগন্যাল না-ও বুঝতে পারেন তাতেও কোনও সমস্যা হবে না। পরবর্তিকালে রেল যদি ৪-৫টা স্টেশনকে একসঙ্গে নিয়ে সেন্ট্রালাইজ ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেম (CTC) চালু করতে চায় সে ক্ষেত্রেও সুবিধা পাওয়া যাবে।