গায়ে সোনার হার, আংটি। হাতে গোছা গোছা টাকা। হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরীতে হিংসার মূল পাণ্ডা আনসারের বিলাসবহুস জীবনযাপন দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য।
বিলাসী জীবন কাটায় আনসার। নেট মাধ্যমে পাওয়া তার একাধিক ছবিতে তা স্পষ্ট। কখনও পানপাত্র হাতে ছবি, কখনও বিএমডব্লু আবার কখনও গোছা টাকা হাতে নিয়ে নিজের বৈভব জাহির করেছে আনসার।
একাধিক ছবিতে দেখা গিয়েছে ফূর্তির মেজাজে আনসার। এমন মৌজ-মস্তি করা লোক কেন হামলা চালাতে গেল সেনিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তার সঙ্গে কোনও সংগঠনের যোগ রয়েছে কিনা তার খোঁজ করছে পুলিশ।
আনসার একটা সময়ে বাংলায় থাকত। পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা সে। সেখানে একটি বড় বাড়িও রয়েছে তার। আনসার হিংসায় যে অভিযুক্ত তা মানতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। প্রতিবেশীরা বলছেন, আনসার ভাল ছেলে। পাড়ায় যখনই আসতেন দানধ্যান করত।
আনসারদের গ্রামের বাড়ি হলদিয়ার কুমারগ্রামে। সেখানে আনসারের একটি দোতলা বাড়ি রয়েছে। যা বর্তমানে বন্ধ। কারণ আনসার অনেক বছর আগেই সপরিবারে দিল্লি গিয়ে বসবাস শুরু করে।
সপরিবারে দিল্লি গেলেও এখনও হলদিয়ার ভোটার আনসাররা। প্রতিবার নির্বাচনের সময় ভোট দিতে এখানে আসত সে। কুমারগ্রামে তার যাওয়া-আসা ছিল।
গ্রামের মানুষ বলছেন, ইদে এখানে আসত আনসার। প্রচুর টাকা খরচ করত। শুধু তাই নয় দামি জিনিসও দান করত। সোনার গয়না পরতে পছন্দ করে আনসার।
আনসারের গ্রেফতারির খবরে প্রতিবেশীরা হতাশ। তাঁদের দাবি, আনসার ভাল ছেলে। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।
আনসার কী ব্যবসা করত তা বলতে পারেননি প্রতিবেশীরা। জানা গিয়েছে, পুরনো জিনিসপত্র কেনাবেচার ব্য়বসা করত। কিন্তু এই ব্যবসায় এত টাকা এল কোথা থেকে? উঠছে প্রশ্ন।
শনিবার দিল্লির জাঙ্গাগীরপুরীতে হনুমানজয়ন্তী উপলক্ষে শোভাযাত্রা বের হয়েছিল। অভিযোগ, ওই শোভাযাত্রার উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। ঘটনায় মূল অভিযুক্ত আনসার ও সোনু শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পরও দাপট আনসারের। রোহিনির আদালতে পুলিশের হেফাজতে যাওয়ার সময় 'পুষ্পা'র নকল করতে দেখা গিয়েছে তাকে।