মালদার কালিয়াচকের পরিবারের চার সদস্যকে খুনের ঘটনায় শুক্রবার মালদা আদালতে চার্জশিট জমা দিল পুলিশ।
৭০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ। খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট, খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০২, ২০১ এবং ৩০৭ ধারা চার্জশিট।
চার্জশিটে ৪৪ জন সাক্ষীর উল্লেখ।চলতি বছরের ১৯ জুন বাবা, মা ,ঠাকুমা এবং বোনকে খুন করে ১৯ বছরের মহম্মদ আসিফ।২৭৩পাতার চর্জশিট জমা দেয়।
পুলিশর পক্ষ থেকে স্পেশাল পি পি নিয়োগের আবেদন করে। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। উল্লেখ্য,মৃতদের নাম আলেক নুর বেওয়া(৭২),ইরা বিবি (৩৬), রিমা খাতুন (১৬)জাওয়াদ আলি (৫৩)।
গত জুন মাসের ২০ তারিখে মালদা কালিয়াচকের পুরানো ১৬ মাইল এলাকার বাসিন্দা আরিফ মোহম্মদ থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
অভিযোগে বলা হয় তার বাবা মা, দিদিমা ও বোনকে খুন করেছে তার ভাই আসিফ মহাম্মদ। রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।
পরেরদিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতদেহের নমুনা সামগ্রী উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় খুনের কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু সরঞ্জাম।
অভিযুক্ত পুলিশের জেরায় স্বীকার করে সেই খুন করেছে অভিনব কায়দায়। প্রথমে বাড়ির সবাইকে ঠান্ডা পানীয়র সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দেয়।
এরপর একটি চৌবাচ্চায় জলে চুবিয়ে তাদেরকে খুন করে। বাড়ির গুদাম ঘরে মাটিতে গর্ত খুঁড়ে পুঁতে দেয়। এরপর ঘটনার পূর্ণনির্মাণ করা হয়।
অভিযুক্ত আসিফের দাদা আরিফকেও খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর সে পালিয়ে যায়। প্রায় ঘটনার তিন মাস পর মালদায় ফিরে পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায়।
এরপরই অভিযোগের ভিত্তিতে ১৯শে জুন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায় জেলা পুলিশ। ঘটনায় জরিত থাকার অসিফের দুই বন্ধু সাবির অলী মারুফ শেখের তদন্তে উঠে আসে।
অভিযুক্ত ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে। টানা পুলিশি হেফাজতে থাকার পর বর্তমানে সে জেল হেফাজতে রয়েছে। উদ্ধার হয় প্রচুর অস্ত্র তার দুই বন্ধু কেউ পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা সহ বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়।এরপর ৭০দিনের মাথায় জেলা পুলিশ চার্জশিট দেয়।
জেলার পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, এদিন কালিয়াচকের চারজনকে খুনের ঘটনায় আমরা চার্জশিট দিয়েছি।
চার্জশিটে ৪৪ জন সাক্ষীর উল্লেখ।চলতি বছরের ১৯ জুন বাবা, মা ,ঠাকুমা এবং বোনকে খুন করে ১৯ বছরের মহম্মদ আসিফ।
২৭৩পাতার চর্জশিট জমা দিয়েছি।চার্জশিটে ৪৪ জন সাক্ষী ছিল। সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখে তার ট্রায়াল' রয়েছে।
খুন, তথ্য প্রমাণ লোপাট, খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০২,২০১ এবং ৩০৭ ধারা চার্জশিট দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনায় গোটা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রত্যেকেই দোষীর কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দাবি করেছেন।