করোনার জন্য ফের ধাক্কা উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিরাট ক্ষতির মুখে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প।
উত্তরের চা বলয়ে এবার থেকে মাত্র ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে বাগান থেকে চা পাতা তোলার নির্দেশ দিলো রাজ্য সরকার।
এই বিষয়ে সোমবার রাজ্যের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি বরুন রায় সমস্ত চা বাগান কর্তৃপক্ষের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করে রাজ্যের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
সেখানে কোভিড পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে বেশ কিছু প্রস্তাবও উঠে এসেছে। উল্লেখ্য, চায়ের ভরা মরশুম চলছে বর্তমানে। আবার কোভিড সমস্যাও রয়েছে।
তবে চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা,চা বাগান মালিকদের একাংশ বলেন,চা বাগান মানেই খোলা পরিবেশ। সব রকম কোভিড প্রোটোকল মেনেই একটি বাগানে ১ লক্ষ ৬২ হাজার বর্গফুট এলাকায় মাত্র ১৫ জন শ্রমিক কাজ করেন।
চা বাগানের ফ্যাক্টরিতেও দূরত্ব মেনেই হাতে গোনা শ্রমিক কাজ করেন। স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা যথেষ্টই কম।গত বছর ও করোনা পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের চা বাগান গুলি স্বাভাবিকই ছিল। চা বাগান গুলোতে করোনা সংক্রমণ প্রায় ছিলই না। বাগান কর্তৃপক্ষ চাইছে, বাগান গুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি শ্রমিক দিয়ে বাগান গুলোতে কাজ করার নির্দেশ দিক রাজ্য সরকার।
পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরও চা শিল্পে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।চা বাগানের মালিকরাও চাইছেন এবার যেন তেমনটা না হয়। এপ্রিল মাস থেকেই প্রায় প্রত্যেকটি চা বাগানে দ্বিতীয় পর্যায়ে নতুন পাতা গাছে এসে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই ৫০ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে সেকেন্ড ফ্ল্যাশ এর চা দ্বিতীয় পর্যায়ের পাতা তোলা সম্ভব নয়।
উত্তরবঙ্গের চা উৎপাদন করে এমন জেলায় শ্রম আধিকারিকদের নিয়ে জেলা ভিত্তিক মনিটরিং কমিটি তৈরি করে বাগানে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উপর নজর রাখবে জেলা প্রশাসন। এবার থেকে ব্লক ভিত্তিক বিডিও দের নিয়ে আর একটি মনিটরিং কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার।
সিসিপিএ সেক্রেটারি জেনারেল অভিজিৎ রাহা বলেন,খুবই ভাল বৈঠক হয়েছে। প্রশাসন ঠিক যেমন নির্দেশ আমাদের দেবে সেই ভাবেই আমরা কোভিড পরিস্থিতিতে বাগান পরিচালনা করার চেষ্টা করবো। তবে চা বাগান গুলোতে ৫০ শতাংশের বেশি শ্রমিক দিয়ে কাজ করার অনুমতি দিলে বাগানের ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যেত। মাত্র ৫০ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে বাগানের কাজ করলে নতুন চা পাতা অর্ধেক নষ্ট হয়ে যাবে।
বিরাট আর্থিক ক্ষতি হবে চা উত্তরের চা শিল্পে।