Advertisement

উত্তরবঙ্গ

PHOTOS: ভাঙন শুরু, ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে মালদার এই গ্রাম

মিল্টন পাল
  • 16 Jun 2021,
  • Updated 10:15 AM IST
  • 1/7

বর্ষার মরশুম শুরু হতেই কালিয়াচক ৩ ব্লকের শোভাপুর-পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় আচমকাই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যার ফলে চরম আতঙ্কে মধ্যে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক বাসিন্দারা।

  • 2/7

 রবিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে কালিয়াচক ৩ ব্লকের শোভাপুর পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় গঙ্গার ভাঙন। প্রায় ৮০ মিটার এলাকাজুড়ে নদীর পাড় ভেঙেছে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন।  যে কোন মুহূর্তে পরিস্থিতি আরো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা। তাই অনেকেই আগেভাগে নিজেদের টিন, টালির দেওয়া ঘরের ছাউনি খুলে নেওয়ার  উদ্যোগী হয়েছেন। 
 

  • 3/7

কালিয়াচকের অধিকাংশ এলাকায় গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করে থাকে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ বন্ধ রেখেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে।

  • 4/7

হোসেনপুর এলাকার বাসিন্দা তাজিমুদ্দিন শেখ, বীরেন মন্ডল, শহিদুল শেখদের বক্তব্য, প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে এরকম ভাঙন হাওয়ায় ধীরে ধীরে প্রচুর জমি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে। এবছরও বর্ষার মরশুম শুরু হতেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। তার জেরেই এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছে। অথচ ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙ্গন ঠেকানোর বিষয়ে কোনো রকম উদ্যোগ নিচ্ছে না । যদিও সেচ দফতেত  পক্ষ থেকে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে । অস্থায়ীভাবে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করার কথা জানিয়েছে সেচ দফতর। এই পরিস্থিতিতে যখন বর্ষার মরশুম কেটে যায়, তখন ভাঙন মেরামতির কাজ কেন করা হয় না,  তানিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে হোসেনপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে । প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনের চিন্তাভাবনা করছেন ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা।

  • 5/7


কালিয়াচক ৩ ব্লক বৈষ্ণবনগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত।  ওই কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক চন্দনা সরকার জানিয়েছেন,  'ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যান্দ্যোপাধ্যায় সেচ দফতরকে জরুরিকালীন ভিত্তিতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ চলছে। কিন্তু ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীন। অথচ বিগত দিনে এসব জায়গায় ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করেছে। এখন তারা সেই কাজ করতে চাইছে না। এর পিছনে কী কারণ আছে তা বুঝতে পারছি না। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে আপাতত অস্থায়ীভাবে ভাঙন ঠেকানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।'

  • 6/7

এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রের অধীনস্থ ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যের সেচ ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কালিয়াচকের বিভিন্ন অংশে গঙ্গার ভাঙ্গন হচ্ছে। সেই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কের সেচ দফতরকে নির্দেশ দেন জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করার জন্য। কিন্তু তারপরেও ঘুম ভাঙেনি ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষের। আমরা চাই গঙ্গার ভাঙন ঠেকাতে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাদের কাজের কাজ করার উদ্যোগ নিক।'

  • 7/7

ভাঙন ঠেকানোর জন্য দ্রুত প্রতিরোধের কাজের দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।  যদিও এ ব্যাপারে ফারাক্কা ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ কোনোও মন্তব্য করেনি ।

Advertisement
Advertisement