নতুন আলু আর বাঁধাকপিতে মন মজেছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের দামালদের। রাত নামতেই আলু ও বাঁধাকপির ক্ষেতে হামলে পড়ছে বক্সার দামালরা।
একে দিনের বেলায় বাঁদরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ জেলার জঙ্গল লাগোয়া কৃষকরা। অন্যদিকে রাতে লাগাতার হাতির হামলায় নৈশনিদ্রা উধাও কৃষকদের পরিবারের।
এমনিতেই আলিপুরদুয়ার জেলার প্রায় সত্তর শতাংশ এলাকা বক্সা টাইগার রিজার্ভ এবং জলদাপাড়া জঙ্গল দিয়ে পরিবেষ্টিত। একমাত্র ফালাকাটা ব্লকের কিছুটা এলাকা এবং আলিপুরদুয়ার সদর বাদে বাকি এলাকাটি জঙ্গলের এলাকা।
আর এই জঙ্গল এলাকা লাগোয়া গ্রাম গুলোতেই জেলার অধিকাংশ কৃষিজপন্য চাষ হয়ে থাকে। ফি-বছর এই চাষের জমি গুলোতে হাতি এবং বাঁদরের বাঁদরামি লেগেই থাকে। কিন্তু শীতের মরশুমে কৃষিজমিতে সবথেকে বেশি হাতি ও বাঁদরের হামলার ঘটনা ঘটে থাকে।
আলিপুরদুয়ার জেলার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন খয়েরবাড়ি বনাঞ্চলের চারিদিকে রয়েছে মাদারিহাটের ছেকামারি, খয়েরবাড়ি, ইসলামাবাদ, ফালাকাটার ছোটো শালকুমার, দেওগাঁও, ময়রাডাঙ্গা, শালকুমারহাট।
অন্যদিকে বক্সা টাইগার রিজার্ভের নিমতি, দোমহনি, পানবাড়ি, শিবকাটা, রাজাভাতখাওয়া কুমারগ্রামের ভলকা, বারবিশা সহ বিভিন্ন এলাকায় হাতির হামলা অব্যাহত।
মাদারিহাটের আলু চাষি আশরাফুল আলম বলেন মহাজনের থেকে ঋন নিয়ে সাত বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম।শুক্রবার রাতে হাতি এসে প্রায় দুই বিঘা জমির আলু সাবার করে গেছে।
আশরাফুল বলেন বনদপ্তর থেকে আমাদের কাছে হাতি তাড়ানোর জন্য কোন সরঞ্জাম প্রদান করেনি।ফলে শুধু লাঠি হাতে হাতির সাথে লড়াই করতে যাওয়া মানে মৃত্যুকে ডেকে নিয়ে আসা। বনদপ্তরের থেকে ক্ষতিপূরণ না দিলে ঘটিবাটি বিক্রি করে মহাজনের ঋন শোধ করতে হবে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের পানবাড়িরতে বারো বিঘা জমিতে বাঁধাকপির চাষ করেছেন ঝুনু সরকার।ঝুনু বাবু বলেন দিনে বাঁদরের দলের হামলা রাতে হাতির পালের হামলা।
তিনি বলেন বুধবার এবং বৃহস্পতিবার পরপর দুই রাতে প্রায় সাত-আটটি হাতির একটি দল আমার বাঁধাকপির ক্ষেতে হামলা চালায়।আমার প্রায় তিন বিঘা জমির বাঁধাকপি হাতির পাল সাবার করেছে। বনদপ্তরের কাছে আমি ক্ষতিপূরণ দাবি করেছি।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের এফডি বুদ্ধরাজ শেওয়া বলেন আমাদের ফরেস্ট অফিসাররা সব জায়গায় ঘুরে দেখছেন।রিপোর্ট পেলে সেই মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।