বুধবার রাতে শহরের একটি অভিজাত হোটেলে খুন হয়েছে বলে উড়ো ফোন যায় আলিপুরদুয়ার থানায়। এই ভুয়ো খুনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো আলিপুরদুয়ারে।
বুধবার রাতে আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভুয়ো খুনের খবর ছড়িয়ে পড়ে। সেই সঙ্গে আলিপুরদুয়ার থানায় কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যাক্তি এই খুনের বিষয়ে ফোন করে জানায়।
এরপই আলিপুরদুয়ার থানার আইসি অনিন্দ্য ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা সেই হোটেলে ছুটে যান। খবর পেয়ে হোটেলে ছুটে আসেন হোটেল মালিক সমিরন পাল এবং হোটেলের অন্যান্য কর্মীরা। পুলিশ হোটেলে গিয়ে দেখেন এই ধরণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি সেই বিলাসবহুল হোটেলে।
তবু্ও পুলিশ তাদের সন্দেহ দূর করতে হোটেলের রেজিস্টার চেক করেন। এবং হোটেলের সমস্ত রুমে থাকা আবাসিকদের সাথে কথা বলেন।
আলিপুরদুয়ার টাউন হোটেল ওনার্স আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল পাল জানান, হোটেলের নাম বদনাম করতে এমন চক্রান্ত করা হচ্ছে।
তিনি জানান, এমনিতে করোনা সংক্রমণের জেরে গত দেড় বছর ধরে কোন আবাসিক আসছেন না। বর্তমানে দু-এক জন করে আবাসিক হোটেল গুলোতে আসছেন।যদি এমন ভাবে ভুয়ো ফোন আর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি হোটেলকে বদনাম করা হয়, তবে এত জন ষ্টাফ নিয়ে হোটেল চালানো দায় হয়ে যাবে।
সুনিল পাল বলেন আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ এবং জেলা পুলিশের উপর আমাদের আস্থা আছে।তারা খবর পাওয়া মাত্রই হোটেলে এসে হোটেল পরিদর্শন করে গেছে।আমরা চাই পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করুক।যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের অপরাধ করার কেউ যাতে না পায়।
হোটেল মালিক সমিরন পাল বলেন আমাদের সংগঠনের নির্দেশে আমি আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।গতকাল রাতের এই ঘটনায় আমার হোটেলের সমস্ত আবাসিক থেকে শুরু করে হোটেল কর্মীরা আতংকে রয়েছে।করোনার সংক্রমণের জেরে হোটেল ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ ছিলো।
এখন দু-একজন করে আবাসিক হোটেলে আসছেন। কিন্তু এই ভাবে কেউ একটি হোটেলের বদনাম করলে হোটেলে আবাসিকরা আসতে ভয় পাবেন। আমাদের সংগঠনের দাবি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে পুলিশ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করুক।