শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক পদে বসলেন গৌতম দেব। শুক্রবার তিনি পুরনিগমে প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন বিদায়ী প্রশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনার কাছ থেকে।
এর আগে বহুবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নিজের পাড়া থেকে জিতে কাউন্সিলর হলেও চেয়ারম্যান কিংবা মেয়র হওয়া হয়নি তাঁর। এবার তিনি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে পারবেন রাজ্য সরকারের সৌজন্যে।
গৌতম বাবুর সঙ্গে এদিন প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নিলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার, সদ্য দ্বিতীয় দফায় কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা নেতা অলক চক্রবর্তী, ব্যবসায়ী বিবেক বৈদ।
প্রথম দিন যোগ দিয়েই সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেন তিনি। পুরনিগমের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পৌরনিগমের সমস্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করেন তিনি।
এমনকী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শনি ও রবিবার ছুটির দিনও খোলা রাখা হবে পুরনিগম। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করতে হবে তাঁদের।
গৌতম দেব বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এখন এটাই প্রাথমিক কাজ। কীভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা হবে সেটা নিয়েই আলোচনা করে কাজ করতে হবে।
প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিতেই মূলত করোনা পরিস্থিতি যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মোকাবিলার কথা জানিয়েছেন গৌতম দেব। কাজের সুবিধা এবং শহরবাসীর স্বার্থে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্য, ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ বিরোধীদের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
দ্রুত শিলিগুড়ি পুরনিগমের সমস্ত কো-অর্ডিনেটরদেরকে নিয়ে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানান তিনি।
অত্যন্ত কঠিন সময়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তিনি তা ঠিকমত পালন করতে পারবেন বলে মনে করছে শহরের বেশিরভাগ জনতা। তাঁর কর্মদক্ষতা নিয়ে কোনওদিন কোনও প্রশ্ন ছিল না।
তবে তিনি বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তাঁকে এই পদে বসানো কতটা নৈতিক হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেখানে কলকাতা পুরনিগমের বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকেই প্রশাসক পদে বসানো হয়েছে, সেখানে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে অন্য নিয়ম কেন? তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
তবে সবে তৃণমূল বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে আসায় এবং গৌতমবাবু তৃণমূলেরই নেতা হওয়ায় এ সমস্ত প্রশ্ন এখন ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া শহরের করোনা পরিস্থিতিতে এখ প্রশ্ন তোলার সময় নয় বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিন গৌতমবাবু জানিয়েছেন, রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তর থেকে দুজন আধিকারিকদের দেওয়া হয়েছে। তাদের শিলিগুড়ির মৈনাক টুরিস্ট লজে পর্যটন দফতরের কার্যালয়ে অফিস করে জলপাইগুড়ি জেলার ১৪ টি ওয়ার্ডে করোনা নিয়ে কাজের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হবে।