তিনটি নদীর সঙ্গমস্থলে পাহাড় ঘেরা মনোরম দৃশ্য আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর শিবখোলা। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র কিছু কিলোমিটার দূরে এই সুন্দর জায়গা।
সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যাঁরা অফবিট ডেস্টিনেশন খোঁজেন, তাঁদের জন্য তো বটেই, শিবখোলার শিবমন্দির সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই।
যাঁরা জানেন, তাঁরা কিন্তু জল্পেশ কিংবা অন্য় প্রচলিত শিবের থানের বদলে ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে দিনভর কাটিয়ে শিবখোলায় পুজো সেরে চলে আসেন।
শ্রাবণ মাসে ভক্তরা বাবা বিশ্বনাথের মাথায় জল ঢালতে ভিড় করেন। করোনা অতিমারির কারণে বিভিন্ন মন্দিরে বিধি-নিষেধের মধ্যে দিয়ে মানুষকে এ বছরও শ্রাবণ মাসের সোমবার পালন করতে হচ্ছে।
শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ২৬ কিলোমিটার দূরে প্রকৃতির কোলে পাহাড়ে ঘেরা শিবখলাতে শিবের মন্দিরেও ভক্তদের আনাগোণা ইদানীং একটু বেশি রকম চোখে পড়ছে।
তিনটি নদীর মিলন স্থলে শিবখোলা এই প্রাচীন শিব মন্দির অবস্থিত মন্দিরের পুরোহিতের কথা অনুযায়ী. প্রায় ১৭৫ বছরের পুরনো এই মন্দির।
তবে যতটা পুরনো ততটা প্রচলিত নয়। আবার যাঁরা জানেন, তাঁদের কাছে ভক্তি ও আস্থার অন্যতম প্রতীক এই মন্দিরের বাবা বিশ্বনাথের বিগ্রহ।
এই মন্দিরে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের থেকে লোক এসে থাকে। এছাড়া প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপাল থেকেও অনেকেই এই মন্দিরে আসেন।
এই মন্দিরটি বহু প্রাচীন হওয়ার কারণে মানুষের এই মন্দিরের প্রতি আস্থা প্রবল। পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকেও মানুষ এই মন্দিরে প্রতিনিয়ত আসেন।
এখন শ্রাবণ মাস চলছে। সেহেতু ভক্তদের আনাগোণা বেড়েছে মন্দিরে। কথায় রয়েছে, শ্রাবণ মাস, শিব ভক্তরা শিব ঠাকুরের আরাধনা করে।
তার আশীর্বাদ পাওয়ার উদ্দেশ্যে সেইরকমই এই মন্দিরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে দূর দূর থেকে মানুষ পায়ে হেঁটে মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক শিব খোলার শিব মন্দির।
শিলিগুড়ি থেকে হর-হামেশাই বাইক-স্কুটার নিয়ে মানুষ শিবখোলায় ঘুরতে যান। ফলে বোঝাই যাচ্ছে কতটা সহজ ডেস্টিনেশন এই এলাকা।
তবু দার্জিলিং, কার্শিয়ং, কালিম্পং কিংবা গ্যাংটকের মতো বহুল প্রচলিত জায়গার প্রচার যতটা এখানে ততটা নেই। তবু ভক্তির অছিলায় হোক কিংবা এমনি, একবার শিবখোলায় ঘুরে আসলে হতাশ হতে হবে না।