করোনা সংক্রমণের জেরে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হওয়াতে বিপাকে পড়েছেন আদিবাসী ও ট্রাইবাল নৃত্যের সাথে জড়িত কয়েকশ ছাত্রী ও মহিলারা।পর্যটন কেন্দ্র খোলার দাবিতে শুক্রবার জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান প্রবেশের মূল গেটে তুমুল বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন আদিবাসী ও ট্রাইবাল নৃত্যের সাথে জড়িত ছাত্রী ও মহিলারা।
আলিপুরদুয়ার জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়াতে রুজিরোজগারে টান পড়েছে আদিবাসী ও ট্রাইবাল পরিবারে। মহিলাদের উপার্জনের দ্বারাই চিলাপাতা এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন বনবস্তির বাসিন্দারা জীবনযাপন করেন।
পর্যটকদের বিনোদনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই চিলাপাতা এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে সন্ধ্যার পর পর্যটকদের সামনে আদিবাসী, রাভা, মেচ সহ অন্যান্য নৃত্য পরিবেশন করেন স্থানীয় ছাত্রী ও মহিলারা।
সেই নৃত্য পরিবেশন করেই জীবনযাপন চলে চিলাপাতা এবং জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনবস্তির বাসিন্দাদের। বনবস্তি বাসিন্দাদের দাবি সরকার ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে শপিংমল, হাট, বাজার, সমস্ত কিছুই চলছে। অথচ শুধু পর্যটনের ক্ষেত্রেই করোনা ছড়াচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের জেরে লকডাউন চলাকালীন টানা দুই বছর সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ ছিলো।ফলে অভাব অনটনের জেরে একবেলা আধপেটা থাকতে হয়েছে এই আদিবাসী ও ট্রাইবাল নৃত্য শিল্পীদের।
লকডাউনে চা বাগানগুলো বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক অনটন দেখা দেয় এই পরিবার গুলোতে। দুর্গাপুজার আগে থেকেই করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমতেই ধিরে ধিরে ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে যায়। ফের নতুন ভাবে বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে আদিবাসী নৃত্য শিল্পীরা পর্যটকদের সামনে তাঁদের নৃত্যশৈলী মেলে ধরে। ছন্দে ফেরে তাঁদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
যদিও সেই সুখ তাঁদের জীবনে ছিলো ক্ষণিকের। ফের করোনা সংক্রমণ বাড়তেই অন্ধকার নেমে এলো আদিবাসী, রাভা,মেচ নৃত্য শিল্পীদের জীবনযাত্রায়।
রাভা নৃত্য শিল্পী কুমারী রাভা বলেন, পর্যটন কেন্দ্র গুলো বন্ধ করে দেওয়াতে আমাদের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে।বাড়িতে এখন উঁনুনে হাঁড়ি চড়ে না।অনাহার অর্ধাহারে কাটছে আমাদের দুর্বিষহ জীবন।
বরো নৃত্য সভার সম্পাদক শম্ভু সুব্বা বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে সরকার পর্যটন কেন্দ্রগুলো চালু করুক। এতে আমাদের ট্রাইবাল সমাজ সহ পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েকলাখ মানুষের প্রাণ বেঁচে যাবে।