বাগডোগরা বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়ে চিতাবাঘের হামলায় আহত হয় এক মহিলা। আহত মহিলার নাম শশীকলা রাই। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বাগডোগরা রেঞ্জের বনকর্মীরা।
এই এলাকায় চিতাবাঘের হামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। উত্তরবঙ্গের চা বাগান সংলগ্ন এলাকাগুলিতে মাঝেমধ্যেই চিতাবাঘের হামলার খবর পাওয়া যায়। সোমবার সকালে শিলিগুড়ির বাগডোগরার বিমানবন্দরে পেরিসেবল কার্গো এলাকায় ঘাস কাটছিল এক মহিলা। ঠিক সেই সময় একটি চিতাবাঘ মহিলার ওপর হামলা চালায়। ঘটনায় স্থানীয়রা তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে।
বাগডোগরা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাঁর আঘাত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শশীকলাদেবীর গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনার খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে বাগডোগরা রেঞ্জের বন কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে চিতাবাঘের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
কার্শিয়াং বনবিভাগের DFO হরিকৃষ্ণ জানান, চিতাবাঘের খবর আসতেই বাগডোগরা বনবিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পাশাপাশি সুকনা বন্যপ্রাণ বিভাগের কর্মীরাও রয়েছে। চিতার খোঁজে তল্লাশি চলছে। দেখামাত্রই তাকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হবে। আর যদি না পাওয়া যায় তাহলে খাঁচা পাতা হবে ওই এলাকায়। আশেপাশে চা বাগান থেকে আসতে পারে বলে ধারণা তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত ২২ শে জুলাই ঠিক একইভাবে সকালে বাগডোগরার বায়ুসেনার সেনা ছাউনিতে চিতাবাঘের হামলায় আতঙ্ক ছড়াল এলাকায়। সেই চিতাটি পালিয়ে গিয়েছিল। ওই আবার ফিরে এল কি না, তা জানা এছাড়াও শিলিগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকা জুড়ে মাঝেমধ্যেই চিতা বাঘের হামলার খবর সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে।
সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে শিলিগুড়ি পুরনিগম অন্তর্গত ৪৬ নং ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে চিতা বাঘ একটি বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল। শুধু তাই নয় গত সপ্তাহে নকশালবাড়ি অটল চা বাগান এলাকাতেও মিলেছিল চিতা বাঘের শাবক। ফলে এলাকায় চিতার সংখ্য়া বৃদ্ধি নিয়ে আশঙ্ক প্রকাশ করেছে পরিবেশপ্রেমীরা।
এর আগে যে চিতাটি বাগডোগরা বিমানবন্দর চত্বরে ঢুকে পড়েছিল, খাঁচা পাতা সত্ত্বেও সেটিকে বাগে আনা যায়নি। পরে চিতাটি পালিয়ে যায়। সেই চিতাটিই ফিরে এসে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক গেঁড়ে বসেছে এলাকায়।