আম-রেশম মালদা জেলার প্রধান অর্থকরী ফসল। মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি মালদার রেশমও জগৎ বিখ্যাত। যার কদর রয়েছে এশিয়া থেকে ইউরোপীয়-আফ্রিকা ও আমেরিকান দেশগুলিতেও।
রাজ্য সরকারের রেশম দপ্তরের উদ্যেগে এবং স্বনির্ভর দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় মালদা শহরের রবীন্দ্র অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত পেডি রেশম কাটাই বিদ্যালয়ে মহিলাদের রেশম সুতো কাটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
মালদার কালিয়াচক ও মোথাবাড়ি এলাকার কুড়ি জন মহিলা এই শিবির থেকে রেশম চাষের খুঁটিনাটি শিখলেন। এক মাস ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ শিবির। উদ্দেশ্যে আরও প্রসার।
পেডি রেশম কাটাই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অর্চনা চক্রবর্তী জানান, রেশম দপ্তরের উদ্যোগে ও এসএইচজি, এসই দপ্তরের আর্থিক সহযোগিতায় এখানে উন্নত মানের রেশম কাটাই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এক মাস ধরে চলছে এই প্রশিক্ষণ শিবির। রেশম দপ্তরের উদ্যোগে ও এসএইচজি, এসই দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারী মহিলাদেরকে গুটি থেকে সুতো বের করা থেকে কীভাবে সুতো কাটাই হয়, তার সবটাই শেখাচ্ছেন দপ্তরের টেকনিশিয়ানরা।
মহিলারা সব কিছু শিখে আগামী দিনে রেশমের উপর যাতে কাজ করতে পারেন সেটাই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি প্রাকৃতিক রেশম চাষে আরও উৎসাহ মিলবে। জেলাতেই তৈরি হয় উন্নত রেশম।
প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণকারী রাখি ঋষি জানান, গুটিপোকা থেকে কীভাবে সুতো তৈরি করা হয়, সুতো কীভাবে কাটা হয়, সে সব বিষয়ে আমরা এই শিবিরে শিখছি।
আগামী দিনে যাতে মালদার রেশম সুতো থেকে চাদর, বেনারসি শাড়ি, জামা তৈরি করতে পারি, তার জন্যই আমাদের এই শিবিরে অংশগ্রহণ। একইসঙ্গে আমরা এই কাজ অন্যদেরও শেখাতে পারব।
শুধুমাত্র বড় কোম্পানি বা সংস্থা নয়, কুটির শিল্পের মাধ্যমেও রেশম তৈরি করে তা বাজারে সরাসরি কিংবা বড় সংস্থাকে বিক্রি করলেও শিল্পীরা লাভ পাবেন। আর তাহলেই চাষিদেরও লাভ বাড়বে। চাষিরা লাভ বেশি পাবেন, শিল্পীরা সস্তায় রেশম গুটি পাবেন।