করোনার জেরে এবারও বন্ধ হয়ে গেল মালদার চাচোলের আশাপুরের প্রাচীন গঙ্গাস্নানের মেলা। প্রশাসনের নির্দেশে সেই মেলা বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এর জেরে সমস্যার চরম মুখে পড়েছেন কাঠের আসবাব সামগ্রী বিক্রেতারা। ক্ষতির মুখে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও।
চাঁচলের আশাপুরে দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে গঙ্গাস্নানের মেলা। স্নানের নির্দিষ্ট দিনের অন্তত এক সপ্তাহ আগে থেকেই বসে যায় মেলা। এই মেলায় মূলত কাঠের আসবাব সামগ্রী বিক্রি হয়।
মেলায় বসে খাবার সহ একাধিক জিনিসপত্রের স্টল। এই মেলার অন্যতম বিশেষত্ব, যাঁরা নির্দিষ্ট দিন মহানন্দায় স্নান করেন, স্নান সেরে তাঁরা মুড়ি এবং আলুর তরকারি খেয়ে বাড়ি ফিরে যান।
করোনা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করায় এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারি বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা যেমন ঋণ নিয়ে কাঠের আসবাবপত্র তৈরি করে ফেলেছিলেন, তেমনই অনেকে বস্তা বস্তা আলুও কিনে ফেলেছিলেন।
কিন্তু করোনা ফের মাথাচাড়া দেওয়ায় ফের সব ধরনের জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। উপায় নেই। অগত্যা অন্য সব কিছুর সঙ্গে বন্ধ হয়েছে মেলাও।
তাতেই থমকে গিয়েছে মেলার আয়োজন। মেলা কমিটিও এবার মেলা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মেলা কমিটির বক্তব্য, করোনা যে হারে থাবা বসাতে শুরু করেছে তাতে মেলা বন্ধ না করা ছাড়া উপায় ছিল না। আমাদের ৯০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ হয়ে গিয়েছিল।
হঠাৎ মেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমাদের প্রায় দু’কোটি টাকা লোকসান হবে। তার থেকেও বেশি ক্ষতি ব্যবসায়ীদের। তাঁরা মেলায় আসতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে সরকারি নির্দেশ মেনে পুজো কিংবা নদীতে স্নানপর্ব চালু থাকবে। একই কথা জানিয়েছেন চাঁচলের মহকুমাশাসকও।