দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল ষষ্ঠী থেকেই। সপ্তমী পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে পূর্বাভাস থাকলেও বৃষ্টি হয়নি। অষ্টমীর সকাল থেকে বৃষ্টি নামে উত্তরবঙ্গেও।
অষ্টমীর দিন জলপাইগুড়ি জেলার কয়েকটি মণ্ডপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সামগ্রিক বিচারে পুজো দেখতে তেমন সমস্যা হয়নি। ফের বৃষ্টি নামে অষ্টমীর রাতে।
নবমীতেও সকাল থেকেই গোটা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তুমুল বর্ষণ না হলেও একটানা কয়েক ঘন্টা বৃষ্টি চলতে থাকে বেলা পর্যন্ত।
নবমীতে দিনভর বৃষ্টির পরও স্বস্তি নেই। পূর্বাভাসে ফের বৃষ্টির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে দশমী-একাদশীতেও। ফলে বৃষ্টির ভ্রুকুটি নিয়েই মায়ের বিসর্জনের বন্দোবস্ত করতে হবে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ০৫ অক্টোবর দশমীর সকাল পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের সবকটি জেলারই কোথাও না কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পরবর্তী ২৪ ঘন্টা অর্থাৎ ৬ অক্টোবর একাদশীর সকাল পর্যন্ত সব কটি জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে।
এ ছাড়া আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রার সে রকম কোনও পরিবর্তন হবে না বলেই জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের তরফে।
আগামী কয়েকদিন উত্তরপূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিচ্ছিন্নভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের দার্জিলং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির বেশ কিছু এলাকায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
পাহাড়ে ধস সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পুজোর মধ্যে যাতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে যোগাযোগ ব্যবস্থায় তাল না কাটে তা নজরে রাখতে প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে।