করোনার পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছিল। ধীরে ধীরে তা কাটিয়ে উঠছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক। এই পার্কটি বর্তমানে উত্তরবঙ্গগামী পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
পার্ক কর্তৃপক্ষ একটি প্রেস বিবৃতিতে জানিয়েছে পার্কে বিগত বছরের তুলনায় জনসমাগম দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এটি হলিডে সিজনের মাত্র শুরু এবং তাদের আয় ৩,৫৪,২০,৫৩০তে পৌঁছেছে এবং দর্শক সংখ্যা ২,২১,৫৫৭।
পার্ককে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার কাজ করা হচ্ছে। আপাতত পার্কের ফেস লিফটের কাজ শেষ হয়েছে।
পার্কের ভেটেরনারি হাসপাতাল সংস্কার করা হয়েছে, কংক্রিটের দেয়ালের কিছু অংশ অপসারণ করা হয়েছে এবং কোয়ারেন্টাইনের প্রাণীদের জন্য আরও সূর্যের আলো ঢোকে এমন কাচের দেয়াল স্থাপন করা হয়েছে।
এনআইসি ভবন এবং টয় ট্রেন স্টেশনের সংস্কারও সম্পন্ন হয়েছে। পার্কটির রূপান্তর সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন পার্কের ডিরেক্টর দাওয়া শেরপা।
পার্কটির অ্যাডভেঞ্চার অ্যাক্টিভিটি, বনসাই গার্ডেন, বাচ্চাদের খেলার জায়গাগুলিকে আপগ্রেডেশন করে আকর্ষণের কেন্দ্র করে তোলা হয়েছে। তা পর্যটকদের জন্য ওপেন করা হয়েছে।
শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক এই ক্যাটেগরির দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম পার্ক। এখানে খোলা ট্রেলের মধ্যে জন্তু জানোয়ারদের রাখা হয়। তাদের দেখতে হলে গাড়িতে করে সাফারি করানো হয়।
রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, লেপার্ড, ভাল্লুক, বিভিন্ন রকমের হরিণ, সম্বর, বাইসন, হাতি, গণ্ডার, নানা রকম বাঁদর, পাখি, ময়ুর, ঘরিয়াল সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে।
এখানে সিংহ ও জেব্রা আনার কথাও চলছে। এগুলি এলে এই পার্ক পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হবে। প্রতিদিনই এখানে ভিড় বাড়ছে।
সাফারি পার্কে ছুটির দিনে এত ভিড় থাকে, একটা সময়ের পর আর বুকিং দেওয়া যায় না। অনলাইনেও টিকিট কেনার সুযোগ থাকায় অনেক বুকিং আগেই হয়ে যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছে ও উদ্যোগেই এই পার্ক স্থাপন হয়েছিল। এটি বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলেরই একটা অংশ। ফেন্সিং দিয়ে সেটিকে পার্কের আকার দেওয়া হয়েছে। পার্কে এসে ঘুরলেই বুঝতে পারবেন সাধারণ চিড়িয়াখানা থেকে কতটা আলাদা।