পাহাড়ে তুষারপাত অব্যাহত। লাগাতার তুষারপাতে জবুথবু পাহাড়। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে পাহাড় লাগোয়া সমতলের একাধিক এলাকায়।
সমতলের শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও অন্যান্য জেলাতেও ঠাণ্ডার তার প্রভাব পড়েছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে গোটা উত্তরবঙ্গ।
মাঘের শীতে উপরি পাওনা বৃষ্টি। ফলে ঘর ছেড়ে বেরোতে মন চাইছে না। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক তো বটেই শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা গিয়েছে ইতিউতি জটলায় আগুন তাপানোর ছবি।
নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা হিমালয়ের লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করায় এই তাপমাত্রার পরিবর্তন বলে জানা গিয়েছে। এই ঝঞ্ঝা কয়েকদিন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
একদিকে সরস্বতী পুজো, অন্যদিকে বিয়ের মরশুম, তার মধ্যে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ। জোর করে হাত-পা চালিয়ে কাজ করতে হচ্ছে বলে বিরক্ত অনেকেই।
এদিন পাহাড়ের সান্দাকফু, ফালুট তো বটেই দার্জিলিংয়ের উঁচু জায়গা গুলিতে তুষারপাত হয়েছে। টাইগার হিল, জোড়বাংলো, সাদা তুষারে ঢেকে গিয়েছে আরও একবার।
বিশেষজ্ঞদের মতে আর মাত্র ২ দিন এমন তুষারপাত চললে কয়েক দশকের রেকর্ড ভেঙে দেবে দার্জিলিং পাহাড়। টানা এমন তুষারপাত অনেক বছর হয়নি।
কয়েক দশক আগে শেষবার ২০০৭ সালে শেষবার টানা ১৩ দিন তুষারপাত হয়েছিল। এ বছর ইতিমধ্যেই ১২ দিন টানা তুষারপাত হয়ে চলেছে।
আর ২ দিন হলেই এই ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দেবে তুষারপাতের ধারাবাহিকতা। ভূমধ্যসাগর থেকে সৃষ্টি হওয়া একটি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, যা বুধবার জম্মু কাশ্মীরে আছড়ে পড়ার পর পূর্ব দিকে এগিয়ে আসতে শুরু করেছে।
এমনটাই জানিয়েছেন উত্তরে পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। তার ফলেই এলাকা মেঘে ঢাকা পড়ে যায়। বৃষ্টি ও তুষারপাত ঘটিয়েছে। পাশাপাশি তাপমাত্রা নামিয়ে দিয়েছে অনেকটাই।