কলকাতা সুইজারল্যান্ড হবে কি না, তা নিয়ে কাটাছেঁড়া চলুক। কিন্তু এবার পুজোয় হাতের কাছে অন্য সুইজারল্যান্ড ঘুরতে চাইলে বাক্স-প্যাঁটরা এখন থেকেই গুছিয়ে রাখুন। কারণ চলে আসতে হবে মিরিকে।
সুইজারল্যান্ড এর মতই চারিদিকের পরিবেশ। কটেজগুলিও তৈরি সুইজারল্যান্ডের পর্যটন কেন্দ্রগুলির ধাঁচে। ডুপ্লেক্স কটেজের কোন টেরেস বা ছাদ নেই। সবটাই ঢালু সুইজারল্যান্ডের কান্ট্রিসাইড বাড়ির আদলে তৈরি।
কটেজ গুলির চারপাশে পাইন, ফার, ওক, দেবদারু গাছের বন। গোটা এলাকায় বসন্তের সুইজারল্যান্ডের চেহারায় ধরা দেবে প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে।
ডুপ্লেক্স কটেজগুলির ভিতরে সম্পূর্ণটাই পাহাড়ি গাছের কাঠের তৈরি। ফরেস্ট বাংলো থেকে কিছুটা আলাদা, আবার অনেকটা ইউরোপীয় স্থাপত্যে তৈরি।
মোট ১২ টি এমন কটেজ রয়েছে। যেগুলি তৈরি হয়েছিল সুভাষ ঘিসিংয়ের আমলে। পরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-র পাহাড়ে শাসন ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেগুলি অবহেলায় নষ্ট হয়ে যেতে বসেছিল।
পরে বিনয় তামাং অনিত থাপার নেতৃত্বে ২০১৭ সালে নতুন করে জিটিএর দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে পাহাড়ের পর্যটনসহ আর্থ সামাজিক বিকাশের বিভিন্ন কাজ করা শুরু হয়।
১২ টির মধ্যে ৪ থেকে সম্পূর্ণভাবে সংস্কার করা হয়ে গিয়েছে। এগুলি পর্যটকদের জন্য প্রস্তুত এখন পর্যটন মরশুম না হলেও ভালোই বুকিং এর খোঁজ আসছে বলে জানিয়েছেন জিটিএ ট্যুরিজমের অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্যুরিজম ডিরেক্টর সুরজ শর্মা।
পুজোর সময়ে এই এলাকায় জায়গা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। কলকাতা, শিলিগুড়ি এবং দার্জিলিংয়ের ট্যুরিজম সেন্টার থেকে অগ্রিম বুকিং করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে। বুকিংয়ের খরচ এখনও ঠিক করা না হলেও সাধারণ বুকিং থেকে একটু বেশি থাকবে।