দেশভর জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সরব বিরোধী থেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও। গোটা দেশে পেট্রোল-ডিজেল পৌঁছেছে সেঞ্চুরির ওপরে।
তারই প্রতিবাদে কংগ্রেস সহ বিভিন্ন আঞ্চলিক দল প্রতিবাদের ঝড় তুলছেন বিভিন্ন জায়গায়। জ্বালানির দাম আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে।
একইভাবে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছে তৃণমূলও। কখনও গরুর গাড়ি চেপে, কখনও আবার বাইক বেঁধে টেনে নিয়ে গিয়ে প্রতিবাদ চলছে।
কখনও আবার ক্রিকেটার সেজে সেঞ্চুরি সেলিব্রেশনের প্রতীকী প্রতিবাদ করছেন বিরোধীরা। শনিবার থেকেই পথে নেমে প্রতিবাদে নেমেছে এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।
রবিবার শিলিগুড়িতে একাধিক কর্মসূচি পালন করেছে দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের বিভিন্ন টাউন শাখা কমিটির সদস্যরা। শহরের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের তরফে।
তৃণমূলের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির ফলে বর্তমানে পেট্রোল ১০০ টাকার উর্ধ্বে, ডিজেল ১০০ টাকা ছুঁইছুঁই, রান্নার গ্যাস ১ হাজার টাকার আশেপাশে।
সেই সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে বলে তাঁদের অভিযোগ। আর মানুষের হয়ে প্রতিবাদ করা তাঁদের অধিকার বলে জানান তৃণমূল নেতারা।
রবিবার শিলিগুড়ি টাউন ব্লক-৩ তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে দেশের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এনজেপি-র নেতাজি মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
একই ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতার দাবি তুলে শিলিগুড়ি টাউন ব্লক নং ১ ও ২ তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে শিলিগুড়ি জংশন মোড়ে আলাদা কর্মসূচিতে অবস্থান বিক্ষোভ করা হয়।
মাটিগাড়া ২ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে খাপরাইল মোড়ে আরও একটি অবস্থান বিক্ষোভ আয়োজন করেন তাঁরা। দিনভর বিভিন্ন কর্মসূচিতে শিলিগুড়ি উত্তাল হয়ে ওঠে।
ছুটির দিনের হালকা মেজাজ রাজনৈতিক শ্লোগান, প্রতিবাদ ধ্বনিতে সরগরম হয়ে ওঠে গোটা দিনই। পাশাপাশি নানাভাবে ব্যঙ্গ ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি পরিচালিত সরকারকে।
প্রাক্তন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন ও পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যে সিলিন্ডারে মালা পরিয়ে তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
পাশাপাশি মাটির উনুনে খড়ি দিয়ে রান্না করে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয় আবার পুরনো পদ্ধতি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য।