প্রায় দেড় বছর পর দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের সূচনা করলেও বেসরকারিকরণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে পাহাড়ে।
টয় ট্রেনকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে পাহাড়ের প্রতিটি স্টেশনে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২। এছাড়া বাকি রাজনৈতিক দলগুলো এর প্রতিবাদ করেছে।
সামিল হয়েছেন রেলের ইউনিয়ন গুলোও। টানা কয়েক ঘণ্টা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল পাহারবাসীরা।
উত্তরবঙ্গে ঘুরতে আসা পর্যটক থেকে শুরু করে দার্জিলিংবাসীর আবেগ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের হেরিটেজ টয়ট্রেন।
মাঝেমধ্যে পাহাড়ি ধসে রেললাইনে ক্ষতি এবং গত দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা আবহে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে টয় ট্রেন পরিষেবা।
আর তাই কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে টয় ট্রেন সহ বেশকিছু সম্পত্তিকে বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে অর্থ মন্ত্রকের তরফে।
আর তারপর থেকেই পাহাড় থেকে সমতল গর্জে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই পূর্ব ঘোষিত অনুযায়ী পাহাড়ে আন্দোলনে নামল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা-২।
সেইমতো দার্জিলিং, ঘুম ও সুকনা সহ টয় ট্রেনের স্টেশনগুলিতে শুক্রবার ১১ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত টানা বিক্ষোভ কর্মসূচি চলে একই সঙ্গে চলে গণস্বাক্ষর অভিযান।
একইভাবে এদিন সকালে সুকনা স্টেশনে মোর্চার কর্মী সমর্থক সহ সাধারন মানুষ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সুকনা রেলস্টেশনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়। দীর্ঘক্ষন প্ল্যাকার্ড নিয়ে চলে প্রতিবাদ।
এদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনিতপন্থী সংগঠনের নেতা কেশবরাজ পোখরেল বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের যে ভুল নীতির কারণে আজ টয়ট্রেন সহ দেশের সম্পত্তিগুলিকে বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছে এর আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
আমরা ভারত সরকারের কাছে আবেদন করছি ঐতিহ্যবাহী ইউনেস্কো তকমা পাওয়া এই ট্রয় ট্রেন কে যাতে কোনোভাবেই বেসরকারিকরণ করা না হয়।
অন্যদিকে মোর্চার সুকনা-পানিঘাটা সমষ্টির সভাপতি নীতিন ছেত্রী বলেন, আমরা কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারকে টয়ট্রেন বেসরকারিকরণ করতে দেবো না। তবে এর আমরা তীব্র বিরোধিতা করি।