মালদায় সুতোয় বদলাচ্ছে দুদলের ভাগ্য। কখনও বিজেপির হাত থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত দখল করছে। আবারও কখনও বিজেপির হাত থেকে তৃণমূল পঞ্চায়েত ছিনিয়ে নিচ্ছে।
আবার অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। মালদা জেলায় আরো একটি পঞ্চায়েত হাতছাড়া হলো বিজেপির। হবিবপুর ব্লকের জাজৈল গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস।
এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে একজন বিজেপি সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করায় পঞ্চায়েতের পালাবদল হলো বলে দাবি তৃণমূলের। ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি সদস্য কে দলে টেনেছে তৃণমূল অভিযোগ বিজেপির।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জাজইল গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১১ টি আসনের মধ্যে ৬ টি আসন দখল করে বিজেপি ৫ টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল।
পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন বিজেপির ইভা সোরেন। চলতি মাসের ১০ তারিখে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ডাকেন তৃণমূল সদস্যরা।
২০ তারিখ তলবি সভায় বিজেপির একজন সদস্য নিরেন মন্ডল তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় অপসারিত হন বিজেপি প্রধান।
এরপরই প্রধান গঠনের তোড়জোড় শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। গতকাল আরতি হাঁসদা প্রধান নির্বাচিত হন। ৫ জন তৃণমূল সদস্য একজন বিজেপি সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন।
হবিবপুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদীপ বাস্কে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হতে বিজেপি সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন তাই এই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এলাকার উন্নয়ন হবে।
যদিও জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডলের অভিযোগ ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি সদস্যকে নিজেদের দলে টেনেছে তৃণমূল। ওই সদস্যর সদস্যপদ খারিজের জন্য আবেদন করবে বিজেপি।