Advertisement

উত্তরবঙ্গ

"পরনে লুঙ্গি গায়ে চাদর", মালদায় গুলি চালানো শিখছেন তৃণমূল নেতা, Viral ভিডিও

মিল্টন পাল
  • মালদা,
  • 27 Nov 2021,
  • Updated 7:19 PM IST
  • 1/9

আস্থা ভোটের আগে তৃণমূলের অস্ত্র প্রশিক্ষন। প্রকাশ্য দিনের আলোয় গ্রামের বুকে গুলি চালাচ্ছে তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের দেওর তথা তৃণমূল নেতা। পাশের থেকে অনেকে আবার উৎসাহ যোগাচ্ছেন। শিখিয়ে দিচ্ছেন কেমন করে চালাতে হয় বন্দুক। এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল-মিডিয়ায়-ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়।
 

  • 2/9

যদিও ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।গোটা ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্বরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবক মালদার চাঁচল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তোরিনা খাতুনের দেওর।

  • 3/9

ভিডিও ভাইরাল হতেই প্রধানের দেওর আরজাউল হককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে! আরজাউল দলের সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। দিন কয়েক আগেই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কাতলামারি এলাকায় বাসির শেখ  ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়।

  • 4/9

দুই গোষ্ঠীই তৃণমূলের আশ্রিত বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে ফের ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ। গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখলকে ঘিরে ফের ওই দুই গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।

  • 5/9

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর মালিওর-২ এ বাম ও কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে। পরে প্রধান ও বাকি সদস্যরা শাসক শিবিরে নাম লেখান। প্রধানের বিরুদ্ধে দলেরই একাংশ অনাস্থা পেশ করে। কিন্তু প্রধান আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্থগিতাদেশ পেয়েছেন। তা নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।

  • 6/9

এই আবহেই প্রধানের দেওরের বন্দুক থেকে গুলি ছোড়ার ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।কাতলামারী এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাসীর ও মহম্মদ উনসাহাক। দীর্ঘদিন ধরে এরা দু'জন একে অপরের প্রতিপক্ষ। এরই সুবাদে বাসীর এবং উনসাহাকের নামে নাম করণ হয় দুটি গোষ্ঠীর।এমনকী সেখানকার বসবাসকারী স্থানীয় মানুষেরাও এই দুই গোষ্ঠীতে বিভক্ত।যার ফলে ওই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে হামেশায় চলতে থাকতো প্রাণঘাতি সংঘর্ষ।

  • 7/9

যদিও এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলার মুখপাত্র শুভময় বসু জানিয়েছেন,ঘটনা কি ঘটেছে তা না জেনে বলতে পারব না। তবে যদি কেউ আইন নিজের হাতে তোলার চেষ্টা করে তার জন্য পুলিশ ও প্রশাসন রয়েছে। দল কোন ভাবেই তার পাশে থাকবে না। জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দ চন্দ্র মন্ডল জানান, এটা তৃণমূলের কালচার। এর বাইরে আর কি বলার আছে।

 

  • 8/9

এ রকম ভাবে সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা বরাবরই শাসক দলের একাংশের নেতাকর্মীরা করে আসছে। বারুদের ওপর জেলাকে দাঁড় করিয়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি করতে চাইছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

  • 9/9

হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কতদিন তাকে আটকে রাখতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিরোধীরা।

Advertisement
Advertisement