Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

সুব্রতকে বলা হত 'তরমুজ'! বাংলার চর্চিত 'দলবদলু' নেতারা...

অরিন্দম গুপ্ত
  • 14 Jun 2021,
  • Updated 11:32 PM IST
  • 1/9

একবার এই দল তো একবার ওই দল। দলবদলের রাজনীতি ব্যাপক হারে চলছে বাংলার রাজনীতিতে। বিধানসভা ভোটের আগে যে খেলা শুরু হয়েছিল, তা ভোটের পরেও অব্যাহত। বস্তুত, বঙ্গ রাজনীতিতে দলবদলের খেলা নতুন নয়। তবে অতীতে এত বাড়াবাড়ি রকম ভাবে বদলও ঘটত না। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলার ইতিহাস বলছে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন দল তৈরি করেন। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও একই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। যদিও তিনি পরবর্তীকালে আবার কংগ্রেসেই ফিরে আসেন।
 

  • 2/9

বর্ষীয়ান নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় একসময় জামা বদলের মতো ঘনঘন দলবদল করতেন। সেই জন্য তার নাম হয়ে গিয়েছিল তরমুজ। দীর্ঘদিনের কংগ্রেস নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস জন্ম নেওয়ার কয়েকবছর পরেই যোগ দেন। পরবর্তী পর্যায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতবিরোধ ঘটলে তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে ফিরে যান। বেশ কয়েক বছর কংগ্রেসে থাকার পরে আবার দল ত্যাগ করেন তিনি। এই পর্যায়ে অল্প কিছুদিনের জন্য শরদ পাওয়ারের এনসিপিতে যোগ দেন। তারপর আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন।

  • 3/9

সাম্প্রতিক অতীতে রাজ্য রাজনীতিতে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দলবদলের নায়ক মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের জন্ম লগ্ন থেকেই দলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তিনি ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হন। দিন তিনেক আগে ফের তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরলেন।

  • 4/9

কংগ্রেসের একসময়ের দর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা। ২০২০ সালে মৃত্যু পর্যন্ত কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। তাঁর সঙ্গেই মতবিরোধের কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের কিছুদিন আগে সবাইকে হতবাক করে দিয়ে দল ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি অবশ্য তার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূলে গিয়েছিলেন। ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন এবং প্রথমবারের জন্য সাংসদ হন। পরবর্তীকালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আবার মতবিরোধ। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন এবং কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পান।
 

  • 5/9

রাজ্যের বাহুবলী নেতা নামে পরিচিত অর্জুন ছিলেন ভাটপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক এবং ভাটপাড়া পৌরসভার তৃণমূল পুরপ্রধান। লোকসভা ভোটে প্রার্থী হাওয়া নিয়ে বিতর্কের কারণে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন এবং বিজেপির টিকিটে লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ‌ও করেন।

  • 6/9

একসময় কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি ছিলেন। ২০১১ এর বিধানসভা নির্বাচনের পর কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা এবং তৃণমূল-কংগ্রেসের জোট সরকারে মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পান। পরে তৃণমূলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে কংগ্রেস জোট থেকে বেরিয়ে আসলে মানস মন্ত্রিত্ব ইস্তফা দেন। পরবর্তীকালে দলত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তিনি এখন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ।

  • 7/9

দীর্ঘদিন ধরে বামফ্রন্ট সরকারের ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী ছিলেন। ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্টের পরাজয়ের পর রেজ্জাক চেয়েছিলেন তাঁকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। কিন্তু দল তাঁর আবেদনে সাড়া না দিয়ে সূর্যকান্ত মিশ্রকে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব দেয়। এর কিছুদিন পরেই তিনি দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেন। 
 

  • 8/9

সব্যসাচী তৃণমূলে থাকাকালীন একাধারে ছিলেন রাজারহাটের বিধায়ক এবং বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র। দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার পরেও দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের ফলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এরপরই তিনি দলত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দেন। বর্তমানে তাঁকে ঘিরে জোর চর্চা, আবার চেষ্টা করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ফেরার। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত সব্যসাচী। 

  • 9/9

শোভন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম ঘনিষ্ঠ। তৃণমূলের অভ্যন্তরে অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন। একত্রে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ছিলেন। সেই সঙ্গে তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতিও ছিলেন। দলের সঙ্গে মতবিরোধ ঘটায় শোভন চট্টোপাধ্যায় বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিয়েই বিজেপিতে যোগদান করেন। বর্তমানে বিজেপি-র সঙ্গও ত্যাগ করেছেন। আপাতত জোর দল্পনা, শোভন ফিরতে পারেন আবার পুরনো দল তৃণমূলে।

Advertisement
Advertisement