মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর রাজ্যের এখন সবথেকে চর্চিত চরিত্রের নাম রাজ্যপাল ধনখড়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পশ্চিমবঙ্গে ধনখড়ের আগে কোনও রাজ্যপাল এতখানি লাইললাইটে আসেননি।
বর্তমান রাজ্যপালের লাইমলাইটে আসার মূূলে রয়েছে রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সংঘাত। ৩০ জুলাই ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।
তারপর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে নানা ইস্যুতে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন। সেই সংঘাত চরম আকার নেয় গতকাল। উত্তরবঙ্গ সফরের পর রাজ্যপাল.দাবি করেন, GTA-তে দুর্নীতি হচ্ছে। অডিটও হয় না। এর বিরোধিতা করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
তিনি বলেন, রাজ্যপাল দুর্নীতিতে জড়িত। যদিও পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগকে খণ্ডন করেন রাজ্যপাল নিজে। যদিও এই সংঘাতের অনেক আগে থেকেই রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছেন। তা নিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা।
তারপর থেকেই অনেকের মনে প্রশ্ন, কে এই ধনখড়? রাজ্যপাল হয়ে আসার আগে কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি? কীই বা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা? আসুন দেখি।
১৮৫১ সালে রাজস্থানে জন্ম জগদীপ ধনখড়ের। সৈনিক স্কুলে তিনি পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
ঝুনঝুনু কেন্দ্র থেকে জনতা দলের সাংসদ ছিলেন ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। ২০০৩ সালে তিনি জনতা দল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন।
রাজস্থানের কিষাণগড় কেন্দ্র থেকে বিধায়কও হয়েছিলেন তিনি৷ ছিলেন রাজস্থান বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট।
এছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেটও ছিলেন তিনি।
১৯৯১ সালে জনতা দলে যোগ দিয়েছিলেন ধনখড়। ভালোবাসেন বই পড়তে, গান শুনতে ও খেলতে।