Atreyee River: বালুরঘাটের লাইফ লাইন বলে পরিচিত আত্রেয়ী নদী। তবে বর্তমানে মৃতপ্রায় অবস্থায় রয়েছে সেই নদী। তথ্য, আত্রেয়ী নদী, রাইখর মাছের ছবি: মৃদুল হোড়
আরও পড়ুন: নিউ টাউন Coffee House পেল আউটডোর ইউনিট, আড্ডা হবে দিলখোলা
বর্ষাকাল বাদ দিলে বেশিরভাগ সময়ই জলশূন্য অবস্থায় থাকে আত্রেয়ী নদী। ফলে এর ওপর নির্ভর করে যাদের দিন কাটত, তাঁরা আজ বেজায় সমস্যায়। অনেকে পেশা বদল করে পাড়ি দিয়েছেন ভিন রাজ্যে।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর অনুমতি না পেলে বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা করতে চায় বোলপুর পুরসভা
বালুরঘাটের বিখ্যাত আত্রেয়ী নদীর রাইখর (Raikhar) মাছ। এর পাশাপাশি আরও অনেক মাছ পাওয়া যেত সেখানে। এখন তা খুব কমে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভুল করেও পেঁপে খাওয়া উচিত নয় এঁদের, হতে পারে বড়সড় ক্ষতি
একটা সময় সারা বছর এই মাছ পাওয়া যেত। প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থেকে শুরু করে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের খাবারের তালিকায় থাকত রাইখর মাছ।
আরও পড়ুন: গাজরের এই ৬ জবরদস্ত ফায়দা জানলে রোজ খাবেন, দেখুন...
এছাড়াও বহু মাছ পাওয়া যেত আত্রেয়ী নদীতে। মাছ বিক্রি করেই দিন গুজরান করতেন বালুরঘাট শহরের খিদিরপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মৎস্যজীবীরা।
এছাড়াও কৃষি কাছে ব্যবহার হত আত্রেয়ীর জল। তবে কয়েক বছর আগে এই আত্রেয়ী নদীর উপর বাংলাদেশ রাবার ড্যাম দেওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়েছে।
এই আত্রেয়ী নদীকে বাঁচাতে বিভিন্ন নদী প্রেমী সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, সাধারণ মানুষ বহুবার আন্দোলন করেছেন (রাইখর মাছ)
মঙ্গলবার রায়গঞ্জে দুই দিনাজপুরের প্রশাসনিক বৈঠকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাশাসক আয়েশা রানিকে নির্দেশ দেন আত্রেয়ী নদীতে কীভাবে সারা বছর জল রাখা যায়, তার পরিকল্পনা গ্রহণ করতে। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থার কথা বলা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়ার পর এই আশায় বুক বাঁধছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের মৎস্যজীবী থেকে সাধারণ মানুষ।
অমর হালদার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানাচ্ছিলেন, আগে সেখানে সব সময় জল থাকত।
তিনি সেখানকার মানুষ, নদীর ধারে বাড়ি। বাপ-ঠাকুর্দার আমল থেকে এখানে রয়েছেন।
জানান, আগে নদীতে জল থাকত। মাছও হত। এখন মাছও নেই, জলও নেই। মাছের অবস্থা খুবই খারাপ।
মুখ্যমন্ত্রী সারা বছর জল ধরে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, তা হলে ভাল হবে। মাছ হবে। তাঁরা সুবিধা পাবেন।
তিনি আরও জানান, মাছ না থাকার কারণে অনেকে বাইরে চলে গিয়েছেন। নৌকা-জাল বিক্রি করে দিয়েছেন। জল রাখার ব্যবস্থা করে দেন, তা হলে সবার সুবিধা হবে।