TMC MLA Pundarikakshya Saha: বিধায়কের অভিনব বিজয়ার প্রণাম।
যদিও প্রতি বছর তিনি বিজয়া এভাবেই পালন করেন। দেখা করেন, সময় কাটান, উপহার তুলে দেন সহায় সম্বলহীন প্রবীণাদের সঙ্গে।
এই ছবির সঙ্গে বেশ পরিচিত নগরবাসী। নগর মানে নবদ্বীপ।
আর যিনি এই উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি সেখানকার দীর্ঘদিনের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা (TMC MLA Pundarikakshya Saha)। যিনি সবার কাছে পরিচিত নন্দ দা।
এ বছরও সেখানে ছেদ পড়েনি। প্রতি বছরের মতো এ বছরেও রবিবার সমাজের সহায়-সম্বলহীন বৃদ্ধাদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা নবদ্বীপের পঞ্চম বারের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা (Pundarikakshya Saha)।
শুধু দেখা করা নয়, তাঁদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নিলেন।
মিষ্টি, বস্ত্র, গামছা, চাদর ও সামান্য অর্থ তুলে দিলেন উপহার হিসেবে।
কর্মজীবনের প্রথম দিন থেকে আজও পর্যন্ত প্রতি বছর বিজয় দশমী (Bijaya Dashami)-র পরে একাদশীর দিন এখানে আসেন তিনি।
আর সহায় সম্বলহীন বৃদ্ধাদের থেকে মাতৃরূপে আশীর্বাদ নিয়ে বছরের কাজ শুরু করেন তিনি।
নবদ্বীপের বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা (Pundarikakshya Saha) বেশ কয়েক বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন।
পায়ে হাত দিয়ে বিজয়ার প্রণাম সারলেন। তুলে দিলন মিষ্টি, নতুন বস্ত্র। তৈরি হল আনন্দের পরিবেশ।
যেন মায়ের কাছে এসেছে ছেলে। আর মা অধীর আগ্রহে বসে ছিলেন কখন তাঁর সন্তান আসবেন। সন্তান এ। দেখা করে গেল মায়ের সঙ্গে।
নবদ্বীপের ভজনাশ্রমে প্রায় ৭০০ বৃদ্ধাকে শাড়ি, চাদর, মিষ্টি এবং ১০০ টাকা করে দেওয়া হল।
নবদ্বীপের পোড়া ঘাটে রাধেশ্যাম সেবাশ্রম মন্দিরে ওই প্রবীণ মানুষদের মিষ্টি, বস্ত্র সামান্য অর্থও তুলে দিলন তিনি।
বিধায়কের এই উদ্যোগে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সহায়-সম্বলহীন অসহায় বৃদ্ধারা সহ সকল নগরবাসী।
মিষ্টি ছাড়া বিজয়া দশমী (Bijaya Dashami) হয় নাকি! তাই থরে থরে প্লেটে সাজান ছিল বিভিন্ন রকমের মিষ্টি।
বিধায়ক (Pundarikakshya Saha) ছাড়াও এই দিন উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপের বিডিও বরুণাশিস সরকার সহ নবদ্বীপ পুরসভার প্রশাসক বিমানকৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্য বিদ্বজ্জনেরা।