Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

Buxa : বক্সার দামালদের স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়েছে দুই 'সেরেনা'!

অসীম দত্ত
  • আলিপুরদুয়ার,
  • 25 Sep 2021,
  • Updated 8:20 PM IST
  • 1/9

Buxa: সেরেনা ইন্ডিকা এবং সেরেনা মিলিফের ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছে বক্সার দামালরা। প্রথম জন ভারতীয়। তবে সেরেনা মিলিফকে 'হায়ার' করে আনা হয়েছে ইতালি থেকে। দুই দেশের দুই খুদের জোড়া আক্রমণে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে হামলা চালানোর হিম্মত জোটাতে পারছে না দস্যি দামালরা।

  • 2/9

আর সে কারণেই গত একবছরে পাল্টে গেছে গোটা গ্রামের চিত্র। বন দফতরের লিষ্টে হাতি উপদ্রুত গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত দুই নম্বর ব্লকের নুরপুর গ্রাম এখন পুরোপুরি হাতি হামলার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছে। বছর খানেক আগেও হাতির হামলার ভয়ে গ্রামে কোনও ফসলই চাষ করতে পারতেন না গ্রামের কৃষক মহল্লা। 

  • 3/9

অথচ সেরেনা ইন্ডিকা ও সেরেনা মিলিফ গ্রামে প্রবেশের পর থেকেই নুরপুর গ্রাম যেন 'সুজলাং সুফলাং'।

  • 4/9

সেরেনা ইন্ডিকা ও সেরেনা মিলিফ আদতে দুই প্রজাতির মৌমাছি। সেরেনা ইন্ডিকা ভারতীয় প্রজাতির এবং সেরেনা মিলিফকে  ইতালি দেশ আনা হয়েছে।

  • 5/9

এক বছরে হাতিদের হানাদারি রুখে দিয়ে এখন আলিপুরদুয়ারের শামুকতলা থানার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল ঘেরা কৃষিপ্রধান গ্রাম নুরপুরের নয়নের মণি হয়ে উঠেছে ওই মৌমাছিরা। আপাতত গ্রামের ৫ টি পয়েন্টে পাতা রয়েছে মৌমাছি পালনের বাক্স। এছাড়াও গ্রামের প্রতি বাড়িতেই শুরু হয়েছে মৌমাছির প্রতিপালন।

  • 6/9

জানা গিয়েছে, গ্রামে কমপক্ষে ১০০ বিঘে জমিতে সর্ষের চাষ ইতিমধ্যেই মৌমাছিদের মধু সংগ্রহকে সুনিশ্চিত করেছে। অথচ মাত্র এক বছর আগেই গ্রামের চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্য রকম। রাত নামতেই হাতির হানাদারি ভয়ে সিঁটিয়ে থাকতেন বাসিন্দারা। চোখের সামনে অসহায়ের মতো ফসলের ক্ষতি বাড়ি-ঘর ও মানুষের প্রাণ উজাড় হতে দেখাই রেজনামচা হয়ে উঠেছিল তাঁদের।

  • 7/9

এক সময় গ্রামের কৃষকরা চাষবাস ছেড়ে দিয়ে বিকল্প রোজগার খুঁজতে যখন মরিয়ে হয়ে উঠেছিলেন। তখন এলাকার সাঁওতালপুর নাগরিক অধিকার সুরক্ষা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সম্পাদক সদানন্দ চক্রবর্তীর উদ্যোগে শুরু হয় ওই ঘুরে দাঁড়ানোর পালা।
এখন ওই মৌমাছিদের কল্যাণে এক একটি বাক্স থেকে মাসে ২০ কিলো মধু সংগ্রহ করতে পারছেন বাসিন্দারা। ফল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফসলের উৎপাদন অনেকটাই বেড়ে যাওয়ায় কোভিড পরিস্থিতিতেও ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রামটি। সঙ্গে হাতিদের বিভীষিকা থেকেও নিস্তার মিলেছে। আদর্শ পরিবেশ পেয়ে মৌমাছিরাও পরম কৃতজ্ঞতায় আগলে রাখছে গোটা গ্রামটিকে।

  • 8/9

উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ জানিয়েছেন, আদতে স্বভাব-বুদ্ধিতে অত্যন্ত প্রখর হাতিরা মৌমাছিদের কামড় ও গুঞ্জন এড়িয়ে যে চলার চেষ্টা করে, তা গবেষণায় প্রমাণিত। অন্যান্য বন্যপ্রাণীদেরও প্রবল বিরক্তির কারণ মৌমাছির দল। গত এক বছরে যেহেতু হাতিরা ওই গ্রামের পথে আর আসছে না, তাতে মনে হচ্ছে ওই টোটকা ভালই কাজ করেছে। তবে নিশ্চিন্ত হওয়ার জন্য আরও বছর খানেক পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন। এটা হাতি মানুষ সংঘর্ষ ঠেকানোর ক্ষেত্রে অবশ্যই একটি সদর্থক দিশা হয়ে উঠতে পারে।

  • 9/9

পুণ্ডিবাড়ি থেকে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক শ্যামল কুমার সাহু জানিয়েছেন, নুরপুরের প্রকল্পের কাজ আমরা ২০২০ সাল থেকে শুরু করেছি। আফ্রিকার বেশ কিছু দেশে এটা পরিক্ষীত সত্য। সেখানে গ্রামে মানুষ-হাতি সংঘর্ষ অনেকটাই কমেছে। আজ সেরেনা ইন্ডিকা ও সেরেনা মিলিফের দৌলতে নুরপুর গ্রামের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। অজানা, অচেনা, অখ্যাত নূরপুর গ্রামটি এখন গোটা দেশের হাতি উপদ্রুত গ্রাম গুলোর কাছে 'আলোর দিশারী'। 

Advertisement
Advertisement