আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্য চোরাকারবারের করিডর হয়ে উঠেছে ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁ শহর। করোনা সংক্রমণের জেরে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত প্রায় দুই বছর ধরে বন্ধ।এরজেরে দুই দেশের লক্ষাধিক মানুষ তাঁদের কাজ হারিয়েছেন। আর্থিক অনটনে জেরবার দুই দেশের দুই সীমান্ত শহর।
একদিকে ভুটানের ফুন্টসোলিং অন্যদিকে এ দেশের জয়গাঁ দুই দেশের দুই শহরের মানুষের কর্মসংস্থান নির্ভর করে প্রতিবেশী দুই দেশের এই দুই শহরের উপর। তবে দুই দেশের যোগাযোগ বন্ধ থাকায় মাদকদ্রব্য চোরাকারবারে লিপ্ত হচ্ছে যুব সমাজ।
শুক্রবার গভীর রাতে ফের আর্ন্তজাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভুটানে মাদকদ্রব্য ও নেশাজাত ট্যাবলেট পাচার করতে গিয়ে জয়গাঁ পুলিশের হাতে ধৃত এক যুবক। জয়গাঁ থানার পুলিশ জানিয়েছে ধৃত যুবকের নাম রাজেশ সরকার।
গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার গভীর রাতে জয়গাঁ থানার পুলিশ বৌবাজার এলাকায় সুভাষপল্লির একটি বাড়ি থেকে রাজেশকে গ্রেফতার করে। পরে রাতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই বাড়ি থেকেই একটি কালো ব্যাগ উদ্ধার করে জয়গাঁ থানার পুলিশ। সেই ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ১৫৭ প্যাকেট নেশার ওষুধ সহ কিছু মাদক দ্রব্য উদ্ধার করে জয়গাঁ থানার পুলিশ।
এরপর রাতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। রাতভর অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে। শনিবার ভোরে এই সমস্ত নেশার ওষুধ সে আন্তর্জাতিক চোরাকারবারিদের মাধ্যমে ভুটানে পাচার করতো।
গত প্রায় দুই বছরে দুই দেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে মাদকদ্রব্য পাচারের ঘটনা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্ধার হয়েছে কয়েক কোটি টাকার হেরোইন, ব্রাউন সুগার, গাঁজা, বিদেশি মদ, নেশার ট্যাবলেট সহ বন্যপ্রাণীর দেহাংশ, এবং আগ্নেয়াস্ত্র। পরপর এই ঘটনায় জড়িত অভিযুক্তের সংখ্যা প্রায় ৫০ জনের কাছাকাছি।
দুই দেশের মধ্যে চোরাচালান ঠেকাতে দুই দেশের তরফেই অরক্ষিত সীমান্তগুলোয় অতিরিক্ত সেনাবাহিনী এবং সাদা পোশাকের গোয়েন্দা মোতায়েন করা হলেও অনেক ক্ষেত্রেই পাচারকারী দল মাদকদ্রব্য সঠিক সময়ে ডেরায় পৌঁছে দিতে সক্ষম হচ্ছে।
বড়সড় সফলতা পেল এক্সাইজ বিভাগের বাগডোগরা সার্কেলের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে ঘোষপুকুর বাইপাস থেকে একটি রাজস্থান নাম্বার এবং একটি ঝারখান্ড নাম্বারে গাড়ি আটক করা হয়।
দুটি গাড়িতে প্রচুর পরিমাণে অরুণাচলের অবৈধ মদ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকৃত মদের মূল্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকার অবৈধ মদ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি এক্সিসে বাগডোগরা সার্কেল শুভাশিস হালদার।১.সতীশ নন্দন ২.অমিত ৩.শাহা উদ্দিন এরা সকলেই হরিয়ানার বাসিন্দা।
রাজস্থান নাম্বারের ট্রাকটিতে প্লাইউড দিয়ে ঢাকা ছিল এই অবৈধ মদের বাক্সগুলি। গাড়িতে আলাদা চেম্বার করে এই সমস্ত অবৈধ মদ পাচার করা হচ্ছিল।
দুটি গাড়ির ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে আলাদা করে চেম্বার তৈরি করে অবৈধ মদ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এই ঘটনায় যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে তাদের নাম যথাক্রমে।