একের পর এক বিপদ টপকে মানুষকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য কাজ করছেন ওঁরা। উদ্ধার করে পৌঁছে দিচ্ছেন নিরাপদ জায়গায়। শুধু তাই নয়, এ কাজ করতে গিয়ে নিজেদের প্রাণের ঝুঁকিও রয়েছে।
মানুষ তো বটেই, উদ্ধার করছেন গৃহপালিত প্রাণীও। একের পর এক জায়গায় উদ্ধার করেই চলেছেন তারা। অক্লান্ত ভাবে নিজেদের কাজ করে চলেছেন। আবার ভেঙে পড়া গাছের ডাল সরিয়ে যাতাযাতের রাস্তাও ঠিক করে দিচ্ছে
বিভিন্ন জেলায় উদ্ধারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ওঁরা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-এর সদস্য।
যেমন দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রাঙাফলা। সেখানে আটকে পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। খবর পেয়ে পৌঁছে যায় জাতীয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)-র দল।
সেখানে আটকে পড়া মানুষকে। বের করে আনা হয় নিরাপদ জায়গায় এমনি হাজারো ঘটনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ হোক বা ওই জেলারই ধামাখালি, সন্দেশখালি।
বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছিলেন মানুষ। জলের তোড়ে ভেসে যাবার আশঙ্কা ছিল। তবে তাঁদের সাহস জুগিয়েছেন, ধীরে ধীরে বের করে এনেছেন।
দক্ষ হাতে পরিস্থিতি সামলেছেন তাঁরা। নিজেদের উপকরণ নিয়ে প্রস্তুত ছিলেন এবং সব কাজ করেছেন করোনা বিধি মেনে।
পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের কালিন্দি গ্রাম পঞ্চায়েতে তিনজন মানুষ ভেসে যাচ্ছিলেন। তাদের বাঁচিয়ে দিয়েছেন এনডিআরএফ। ওই তিন ব্যক্তির নাম সুশান্ত গিরি, গোপাল মন্ডল এবং ননীগোপাল জানা। এনডিআরএফ-এর ইন্সপেক্টর শারদ শেন্ডে খবর পাওয়ার পর দ্রুত পৌঁছে যান সেখানে। ভেসে যাচ্ছিলেন ওই ৩ ব্যক্তি। তা দেখতে পেয়ে জলে ঝাঁপ দিয়ে। উদ্ধার করেন তাঁদের। তখন সেখানে চলছে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় হাওয়া বইছিল। তারই মাঝে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩ জনকে বাঁচিয়ে দিয়েছে এনডিআরএফ।
অনেক জায়গায় গাছ পড়ে ভেঙে গিয়েছিল। গাছ পড়ে রাস্তা আটকে যায়। তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিয়েছে তারা। বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে দ্রুত কেটে ফেলেন ভেঙে পড়া গাছ, গাছের ডাল। ফলে যাতায়াতের কোনও সমস্যা হয়নি।