Duare Vaccine for Animals by ARD: দুয়ারে সরকারের পর এবার দুয়ারে ভ্যাকসিন। তবে মানুষের জন্য জন্য গবাদি প্রাণীদের জন্য।
রাজ্য সরকারের পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী সম্পদ বিকাশ এবার দুয়ারে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন এবং ওষুধপত্র নিয়ে এল গবাদি এবং গৃহপালিত অন্যান্য প্রাণীদের জন্য।
রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর নিয়েছে এবার নতুন উদ্যোগ।
তারা চালু করেছেন ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসা কেন্দ্র।
গ্রামাঞ্চলে হাঁস-মুরগি-ছাগল-গরু এখন অনেকেই প্রতিপালন করে থাকেন।
দীর্ঘ লকডাউনে তা প্রধান উপজীবিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনেকের ক্ষেত্রেই।
কিন্তু তাদের ও নিয়মিত ভ্যাক্সিনেসন এবং শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য বিভিন্ন রকম চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশেষত বর্ষাকালে তা আরও গুরুত্বপূর্ণ। এমনই কথা জানান প্রাণীরোগ বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু করোনাকালীন পরিস্থিতিতে সেই সব পশুদের জন্য কজন মানুষ আর ভাবতে পারছেন?
তার ওপর পশু চিকিৎসা কেন্দ্রগুলি ব্লকের মধ্যে দু-একটি থাকলেও গ্রাম থেকে অনেকটাই দূরে অবস্থিত হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই।
সম্ভবত সেই কথা ভেবেই রাজ্যের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতর চালু করেছেন ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসা কেন্দ্র।
রাজ্যের বিভিন্ন জায়গাতেই সেই পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে পশু চিকিৎসকরা পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন গ্রামে।
গরু-মোষ-হাঁস-মুরগি-ছাগল-সহ বিভিন্ন পশুদের তারা নির্ধারিত সময় ভিত্তিক ভ্যাকসিন দিচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দিচ্ছেন।
ভ্রম্যমান এই পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন গ্রাম গ্রামাঞ্চলের অন্য মানুষ।
নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুসলিম পাড়া এলাকায় বর্তমানে এই ধরনের ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসা কেন্দ্রের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন প্রচুর মানুষ।
শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের আসন্ন উপনির্বাচনের আগে রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন গ্রামীণ প্রাণী-পাখি পালনকারীরা।
তাঁরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে বলেন, এর আগেও দুই-একবার এধরনের ভ্রাম্যমাণ পশু চিকিৎসালয়ের আয়োজন করা হয়েছিল।
সেখান থেকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল। যা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছিল।
আগামী সময়েও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার অনুরোধ করেন তাঁরা।
চিকিৎসক এবং অন্যান্য পশু স্বাস্থ্যকর্মীরা জানান, শান্তিপুর ব্লকের পঞ্চায়েতের মধ্যে বেশ কয়েকটি ক্যাম্প ইতিমধ্যে হয়েছে।
সেখানে এখনও সাতটি ক্যাম্পে এভাবেই পৌঁছবেন তাঁরা।
ফলে আরও অনেক মানুষ উপকার পাবেন।
বাঁচবে তাঁদের পালন করা হাঁস-মুরগি থেকে শুরু করে গরু-বাছুর।
প্রাণীসম্পদ গ্রামীণ অর্থনীতীর ক্ষেতরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।