Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

মিলছে না সরকারি ভাতা, দুর্গাপুজো না করার হুমকি পুরোহিতদের

  • 1/7

মিলছে না পুরোহিত ভাতা। এই অভিযোগে সরব হয়েছে মালদা জেলা পুরোহিত সমাজ।
শুধু তাই নয়, বিশ্বকর্মা পুজোর আগে পুরোহিত ভাতা চালু না হলে দুর্গাপুজো থেকে সরে দাঁড়ানোর হুমকিও দিয়েছে পুরোহিত সংগঠন বঙ্গীয় পুরোহিত সভা।

  • 2/7

এনিয়ে আন্দোলনে নামতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য। সংগঠনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের কথা মালদার জেলাশাসক এবং জেলার সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

  • 3/7

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদায় প্রতিবছর হাজার দেড়েকের বেশি দুর্গাপুজো হয়। করোনা আবহেও পুজো হয়েছে। কিন্তু, করোনার মধ্যেই এবার নতুন সংকট হিসেজতবে হাজির পুরোহিতদের এই পুজো না করার হুমকি দেওয়া। 

  • 4/7

কেন পুজো না করার হুমকি দিয়েছেন পুরোহিতরা ? এই বিষয়ে বঙ্গীয় পুরোহিত সভার অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০২০ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরোহিতদের মাসিক এক হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ৷ এরপর কয়েকজন পুরোহিতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আসে। কিন্তু, সঠিক লোকদের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা দেওয়া হয়নি। তারপর থেকে মালদা জেলা প্রশাসনিক ভবন এবং ব্লকে পুরোহিতদের ডাকা হচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পুরোহিতরা ভাতা পাননি।

  • 5/7

অভিজিৎবাবুর আরও দাবি, মালদা জেলায় প্রায় ৭ হাজার পুরোহিত রয়েছে। অথচ ভাতা ঢুকেছিল মাত্র ৪০০ জনের অ্যাকাউন্টে। এরপরই তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিশ্বকর্মা পুজোর আগে সবার অ্যাকাউন্টে টাকা না ঢুকলে তাঁরা দুর্গাপুজো করবেন না। 

  • 6/7

পুরোহিতদের এই সিদ্ধান্তে অশনিসংকেত দেখছেন পুজো উদ্যোক্তা থেকে আমজনতা সকলেই। রাধেশ্যাম ভট্টাচার্য নামে এক পুরোহিতের বক্তব্য, গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণার পর দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ পুরোহিত এখনও ভাতা পাওয়া থেকে বঞ্চিত।  যাঁরা টাকা পেলেন তাঁরা একবারই পেয়েছেন। দ্বিতীয়বার কোনও টাকা ঢোকেনি।
 

  • 7/7

এই নিয়ে মালদার এক পুজো কমিটির উদ্যোক্তা বলেন, পুরোহিতদের এই সিদ্ধান্তের ফলে সবথেকে বেশি বিপদে পড়বেন উদ্যোক্তারা। কারণ, পুরোহিত ছাড়া গতি নেই। প্রশাসনের এই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়া দরকার। পুরোহিতদেরও ভাতা দেওয়া উচিত। আবার কোনও কোনও উদ্যোক্তা এই কথা বলছেন, যদি সত্যিই পুরোহিতরা রাজি না হন পুজো করতে, তাহলে দুর্গাপুজো বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। 

Advertisement
Advertisement