ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেমন রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে তেমনি রোজই আবহাওয়ার পারদও চড়ছে। বসন্তেই গরম অনুভূত হতে শুরু করেছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতায় গত শনি ও রবিবার যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সেটা গত পাঁচ বছরের মধ্যে ফেব্রুয়ারির সর্বোচ্চ।
শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। যার ফলে ভরা বসন্তে রীতিমত এপ্রিল-মে মাসের গরম অনুভব করছে শহরবাসী। রবিবারও চিত্রটা বদলায়নি। এদিনও শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ৩ ডিগ্রি উপরে।
মার্চের প্রথম দিনও কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকল ৩৬ ডিগ্রির ঘরে। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি উপরে। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি। এটাও স্বাভাবিকের ৪ ডিগ্রি উপরে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের তাপমাত্রা আরও বাড়বে। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতেও বাড়ছে তাপমাত্রা। সকাল থেকে হালকা রোদের তেজ অনুভূত হলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রোদের তেজ যেন আগুন ছোঁয়া দিচ্ছে।
তবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মাত্রাছাড়া ভাবে বাড়লেও, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এখনও কম রয়েছে। এর ফলে ভোরের দিকে এখনও শীত শীত ভাব অনুভূত হচ্ছে জেলাগুলিতে। পারদের পার্থক্যও লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রার এই রকম পরিস্থিতি আরও অন্তত দিন দশেক চলবে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৭ থেকে ২০ ডিগ্রির ঘরে। আপাতত বৃষ্টিরও কোনো সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
দক্ষিণে তাপমাত্রা বাড়লেও উত্তরে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে হাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গে দুই দিনাজপুর ও মালদহ ছাড়া সবকটি জেলাতেই হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে হালকা কুয়াশার সঙ্গে রয়েছে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।